বিশ্বনাথে পুলিশের মামলায় আসামি হলেন যারা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন (২৯ অক্টোবর) সরকারি কাজে বাঁধা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে পুলিশের উপর হামলা ও নির্বাচনি সরঞ্জাম বহনকারি গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বিশ্বনাথ থানার এসআই নুর হোসেন বাদি হয়ে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খানকে প্রধান অভিযুক্ত করে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ১০০/১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলা নং ২০।
মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা বিএনপি নেতা আরব খান (নোয়াগাঁও পূর্ব পাড়া), জয়নাল আবেদীন (আনপুর), জানু মিয়া (রামধানা), পৌর বিএনপি নেতা আহেমদ-নূর উদ্দিন (জানাইয়া), আবদুর রহমান খালেদ (বরইগাঁও), ফরিদ আহমদ (রামপাশা রোড, বিশ্বনাথ নতুন বাজার), উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক গোবিন্দ মালাকার (বিশ্বনাথ নতুন বাজার), আবদুর রব (বন্ধুয়া), দৌলতপুর যুবদলের সভাপতি আব্দুর রউফ (ছত্রিশ), যুবদল নেতা মিজবাহ খান (কাশিমপুর), সুলতান খান (দশপাইকা), আবদুুল মুমিন কালু (দৌলতপুর), আবেদুর রহমান আছকির (মঙ্গলগিরি), জাকির আহমদ (দশঘর নোয়াগাঁও), উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হুসাইন আহমেদ প্রবেল (ধর্মদা), সদস্য সুলতান মিয়া (বাহাড়া দুবাগ), পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক ফখরুল ইসলাম রেজা (মিরেরচর), ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান শিমুল (শ্রীপুর), নিজাম উদ্দিন (দশঘর নোয়াগাঁও), উপজেলার বিশঘর গ্রামের তেরাব আলী, দশঘর নোয়াগাঁও গ্রামের আনোয়ার, জাহেদ, কাশিমপুর গ্রামের হিফজুর রহমান, নেহালের নোয়াগাঁও আতিনুর রহমান আতিকুর, ছিক্কাগাঁও গ্রামের দিলু মিয়া, বেলাল, ছত্রিশ গ্রামের মখলিছুর রহমান, চৈতন নগর গ্রামের রাশেদ মিয়া, লিফু মিয়া, দৌলতপুর গ্রামের রেজাউল করিম রাজু, দেওকলস গ্রামের সালমান, অলংকারী গ্রামের ছাইদুর রহমান, শেখেরগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলাম হান্দু মিয়া ও রায়খেলী গ্রামের রুফু মিয়া।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর দশঘর এনইউ উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে সন্ধ্যায় ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার সময় পুলিশের উপর হামলা করে অভিযুক্তরা। এসময় নির্বাচনী সরঞ্জাম বহনকারী একটি পিকআপ (মিনি ট্রাক) গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করে অভিযুক্তরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।