করোনা আতঙ্কে গরুর দাম নিয়ে হতাশ শিবগঞ্জের ৪০ হাজার খামারী
রশিদুর রহমান রানা (শিবগঞ্জ) বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক গরুর খামার । উপজেলায় প্রায় ২ হাজার খামারী ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ৪০ হাজার গরু মোটা তাজা করার লক্ষ্যে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে উপজেলার হাট বাজার গুলোতেও মাংসের চাহিদা তুলনামুলক ভাবে কম।
চলতি বছরে ঈদুল আযহায় করোনাভাইরাসের আতঙ্কে গরু হাটে বিক্রিকরা ও বাজার দাম নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে এখানকার খামারীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাফরিন রহমান এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে গরু মোটা তাজা করছেন খামারীরা। গরুর মাংস উৎপাদনের দিক থেকে এ উপজেলা অনেক এগিয়ে। উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ২ হাজার গরু মোটা তাজা করণ খামার গড়ে উঠেছে। স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত গরু থেকে ৯০ ভাগ মাংসের চাহিদা পূরণ করা হয়। ঈদুল আযহায় গরু বিক্রি করার জন্য প্রায় ৪০ হাজার গরু লালন পালন করছে খামারীরা।
এ উপজেলায় গবাদীপশু কেনা বেঁচা করার জন্য বড় হাট গুলোর মধ্যে মহাস্থান হাট, বুড়িগঞ্জ হাট, ডাকুমারা হাট, দাড়িদহ হাট উল্ল্যেখ করার মতো। এই হাট গুলো ছাড়াও ঈদুল আযহায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও ২৫ থেকে ৩০ টি অস্থায়ী হাট বসে। করোনার কারণে এসব হাট বসবে কিনা তা নিয়েও সঙ্খিত খামারীরা। উপজেলার খামারীদের মধ্যে অনেক বেকার যুবকেরা সরকারি , আধা সরকারি, এনজিও চালিত ব্যাংক ঋণ নিয়ে গবাদি পশুর খামার গড়ে তুলছে।
এখানকার গরু স্থানীয় চাহিদা মেটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হয়। খামারে গরু মোটা তাজা করণের প্রক্রিয়া চলছে। এখন শুধু ঈদুল আযহার আপেক্ষায় দিন গুনছে এলাকার গরু খামারীরা। এখানকার গরু ঢাকা, নারায়ণগজ্ঞ, মাদারীপুর, রাজশাহী , সিলেট, চট্রগ্রাম, সহ দেশের বড় বড় বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
বুড়িগঞ্জ এলাকার খামারী শাবান আলী বলেন, গত বছর ৩টি গরু ছিল খরচ বাদ দিয়ে ১ লাখ টাকা লাভ হয়েছিল, বর্তমান ৪ টি গরু আছে। করোনার কারণে বাজারে ভাল দাম মিলবে কিনা এই আতঙ্ক মনে সব সময় কাজ করছে। মোকামতলা এলাকার খামারী জোব্বার আলী বলেন, এবার ঈদে কি রকম দামে গরু বিক্রি করতে পারবো সেটা জানিনা। বাজারে গোখাদ্যের দাম অগের তুলনায় অনেক বেশি। গরু বিক্রি করে ভালো দাম না পেলে ঋনের টাকা পরিষদ করাই কঠিন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাফরিন রহমান আরও বলেন, খামারীদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ প্রদান করে আসছি। তাদের পালনকৃত গবাদীপশু নিয়ে যে কোন সমস্যায় প্রাণী সম্পদ বিভাগ পাশে থাকবে।