স্কুলজীবনে পুরস্কার জেতার আনন্দটা এখনও আছে: তথ্যমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা অনেক সময় দৌঁড় প্রতিযোগিতায় একটা কাপ কিংবা প্লেট পুরস্কার হিসেবে পেতাম। স্কুলে যে পুরস্কার পেতাম তা ঘরে এসে মা-বাবাকে দেখাতাম। সেটার যে আনন্দ সেই আনন্দ এখনও শরীরে লেগে আছে। জীবনের বহুপথ পাড়ি দিয়ে আজকে এই অর্জনের পেছনে সেই অর্জনগুলো সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাঙ্গুনিয়ার সুখবিলাশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘নুরুন্নাহার স্মৃতি বৃত্তি’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মেধা বিকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে মূল্যবোধ, মমত্ববোধ ও দেশাত্মবোধের বিকাশ ঘটাতে অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের এমন শিক্ষা দিতে হবে তারা যেন গুরুজনের প্রতি দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়। বড় হয়ে বাবা-মা’কে যেন অবহেলা না করে এবং তাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে না দেয়। এ ধরণের মানসিকতা যাতে তাদের মধ্যে সৃষ্টি না হয় সেজন্য ছোটকাল থেকেই সেই শিক্ষাটা দিতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। এভাবে আমাদের দেশটি আরও সুন্দর হবে।
তিনি আরও বলেন, বৃত্তির অংকটা ছোট, কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহীত করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যেকোন জায়গায় একটা বই উপহার পেলেও আমরা খুব বেশি উৎসাহিত হতাম।
পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কবির তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টের আইনজীবি ও তথ্যমন্ত্রীর মাতা প্রফেসর এডভোকেট কামরুন নাহার বেগম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ সভাপতি মো. খালেদ মাহমুদ, উপাধ্যক্ষ দুলাল কান্তি দাশ, সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাফর, নাছির উদ্দিন সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিক্তা সেন, বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ রাসেল মাহমুদ প্রমুখ।