গৃহিনীদের ধান শুকানোর উচ্ছ্বাস
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধি : হেমন্তের শেষে গাইবান্ধা জেলার কৃষকদের আমন ধান কাটা-মাড়াইও শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। নতুন অন্নের যোগান দিতে এখন গৃহিনীদের চলছে সেদ্ধ ধান শুকানোর উচ্ছ্বাস।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) গাইবান্ধার নাগবাড়ী এলাকার গৃহিনীদের ধান শুকোনো ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে।
গৃহিনীরা জানায়, অগ্রায়ণের শেষে ও পৌষের প্রথমের দিকে শীতের তীব্রতার সঙ্গে দিনের বেলায় ঘন কুয়াশায় ঢেকে যেতে পারে সূর্যের আলো। এতে ধান শুকাতে বেগ পেতে হবে তাদের। তাই আগেভাগেই সেদ্ধ করেছেন আমন ধান। আর এই ধানগুলো শুকাতে চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সাতসকালে রোদের ঝিলিক দেখতেই ধান শুকাতে স্থানীয় চাতালসহ বাড়ির উঠানে ছুটাছুটি করছেন তারা।
গৃহিনী আবেদা বেগম বলেন, গত ইরি-বোরো ধানের মজুদকৃত চাল ইতোমধ্যে ফুড়িয়ে গেছে। ফের ছয় মাসের খাদ্য মজুদ রাখতে আমন ধান সেদ্ধ করা হয়। তাই বিভিন্ন চাতালসহ বাড়ির উঠানে ও রাস্তায় শুকানো হচ্ছে ধানগুলো ।
কছিমন্নেছা বেগম নামের এক বৃদ্ধা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আমন মৌসুমের নতুন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পাড় করা হয়। এরপর শুরু করা হয়েছে সেদ্ধ করা ধান শুকানোর কাজ। এই ধান ছেটে ঘরে তোলা হবে নতুন চাউল। আর কয়েকদিন পর বাড়িতে আসবে বেটি-জামাই ও নাতী-নাতনীরা। নতুন ধানের চাউল দিয়ে তৈরি করা হবে পিঠা-পায়েস, ক্ষীরসহ নানান রকম খাবার।
কৃষক নেজাম উদ্দিন ব্যাপারী জানান, অগ্রহায়ণ এলেই কৃষকের মাঠজুড়ে ধানকাটার ধুম পড়ে যায়। অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটান এ সময়ে কৃষাণ-কৃষাণীরা। ইতোমধ্যে আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ হয়েছে। এখন চলছে নতুন চাউল ঘরে তোলার পালা। এ লক্ষ্যে স্ত্রী-সন্তনরা সেদ্ধ ধান শুকাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।