রাজশাহীতে গরমে বেড়েছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা
নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি : প্রচ- গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিনটি শিশু ওয়ার্ডে বেড়েছে ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও। বিশেষ করে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের মেঝেতেও ঠাঁই হচ্ছেনা অনেকের। সে সাথে বেড়েছে রোগীর স্বজনদের যথাযথ সেবা না পাবার অভিযোগ। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে নারী-পূরুষ ও শিশুরা। এতে করে রোগীদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীরে ব্যথা, বমি বমি ভাবসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। রামেক হাসপাতালের তথ্যমতে জানাযায়,মেডিসিন ও শিশু বিভাগে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেডিসিনের চারটি ইউনিটে নারী-পুরুষ মিলে প্রায় হাজার খানেক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা ও হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বেশি। আর বর্তমান সময়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১০ থেকে ২৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার সকালে শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, তিল পরিমাণে জায়গা নেই শিশু ওয়ার্ডের তিনটি ওয়ার্ডে। শিশু ওয়ার্ডের তিনটি ওয়ার্ড মিলে প্রায় ছয় শতাধিক রোগী নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যার মধ্যে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ভাইরাল র্টি-বার, পক্সের রোগী রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০ জন শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে। রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুর রহমান খান জানান, গরমের কারণে কোন রোগ হয় না। প্রচ- গরমে রোদে থাকলেও কোন অসুখ হয় না। কিন্তু গরম থেকে শান্তি পেতে মানুষ যে শরবত, পানি, আখের রস খায় তাতেই জিবানু বেশি থাকে। ছোট বড় সকলকে এ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, এ সময় মানুষের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। গরমে জিবানুর মাত্রা বেড়ে যায়। এসময় বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ার প্রবণতা বাড়ে। কেউ ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় স্যালাইন খেতে হবে। আক্রান্ত হলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে নিবে হবে। এছাড়া স্বজনরা একটু সচেতন হলে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ অনেকাংশে কমানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
from BDJAHAN https://ift.tt/2XfoNSt
via IFTTT