নন্দীগ্রামে এক বালিকাবধুরমৃত্যু : স্বামী গ্রেপ্তার

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে শরীর মোটাতাজা করণের ঔষধ খাওয়ানোর পর রতœা খাতুন (১৪) নামে এক বালিকাবধুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার স্বামী ট্রাক চালক শাহাদৎ হোসেন (২৪) কে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। সে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মহিপুর জামতলা এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। গত বুধবার রাতে নন্দীগ্রাম থানায় মেয়ের বাবা গাজীউর রহমান বাদী হয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর উপজেলার মহিপুর জামতলা এলাকার ট্রাক চালক শাহাদৎ হোসেনের সাথে প্রায় ৩ বছর আগে ধুনট উপজেলার চরনাটাবাড়ি গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী রতœা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। অল্প বয়সে বিয়ে ও সন্তান প্রসবের কারণে রতœা খাতুনের শরীর ভগ্নদশায় পরিণত হয়। এতে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে শারীরিকভাবে মোটাতাজা করণের ঔষধ সেবনে বাধ্য করে স্বামী। এ অবস্থায় শেরপুর শহরের এক ফার্মেসী থেকে স্ত্রীকে মোটাতাজা ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার হারবাল জাতীয় ঔষধ (ট্যাবলেট) কিনে শাহাদৎ হোসেন। এরপর রতœা খাতুনকে সাথে নিয়ে শাহাদৎ হোসেন নন্দীগ্রাম উপজেলার মুরাদপুর গ্রামে নানা শ্বশুর জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সেখানেই মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শাহাদৎ হোসেন জোরপূর্বক রতœা খাতুনকে একটি ট্যাবলেট সেবন করায়। এতে রতœা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই রাত ৩টার দিকে রতœা খাতুনকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এরপর বুধবার সকাল ৬ টায় রতœা খাতুন মারা যায়। এ বিষয়ে শাহাদৎ হোসেন বলেন, সন্তান প্রসবের পর রতœা খাতুন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই স্থানীয় এক হাতুড়ে চিকিৎসকের পরামর্শে শরীর মোটাতাজা করণের ঔষধ কিনে দিয়েছি। তবে ওই ঔষধ সেবন করে রতœা মারা গেছে কিনা তা জানা নেই। নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, মেয়ের বাবা বাদী হয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। সে মামলায় জামাই শাহাদৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।



from BDJAHAN http://bit.ly/2ZCrCiL
via IFTTT
Next Post Previous Post