দোয়ারাবাজারে ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় পাথরবোঝাই ট্রাকসহ একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে খালে পড়ে গেছে। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার নৈনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রাকচালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর দোয়ারাবাজার-ছাতক সড়কের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা, আটকা পড়েছে শতাধিক যানবাহন। ব্রিজটি মেরামত করতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এদিকে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলা সদর, লক্ষ্মীপুর, সুরমা, বোগলাবাজারসহ ছয়টি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, দোয়ারবাজার উপজেলা থেকে ছাতক হয়ে সিলেট যাওয়ার প্রধান সড়ক হচ্ছে দোয়ারাবাজার-ছাতক সড়ক। শুক্রবার গভীর রাতে এ সড়কের নৈনগাঁও এলাকায় বেইলি ব্রিজে অতিরিক্ত ওজনের একটি পাথরবোঝাই ট্রাক উঠলে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এ সময় ট্রাকচালক আল আমিন (৩৫) ও তার দুই সহযোগী মোহাম্মদ আলী (৩২) ও মোশারফ হোসেন (৩০) আহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দা আসাদ আলী বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে বিকট শব্দ শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি, বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খাদে পড়ে আছে। এ সময় আমরা কয়েকজন মিলে ট্রাকচালকসহ তিনজনকে উদ্ধার করি।
দুর্ভোগের শিকার নজরুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে ছাতক যাচ্ছিলাম। নৈনগাঁও এলাকায় বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ায় যেতে পারছি না। এতে একদিকে আমাদের সময় নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ব্রিজটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তিনি।
সিএনজিচালক গিয়াস উদ্দিন বলেন, যাত্রী নিয়ে সিলেট যাচ্ছিলাম। কিন্তু বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ায় আটকে আছি।
দোয়ারাবাজার থানার এসআই নোবেল সরকার বলেন, ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর আমরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিকল্পভাবে মানুষের যাতায়াতের জন্য সাঁকো তৈরি করেছি। ব্রিজের দুই পারে অনেক যানবাহন আটকে আছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে ছাতক সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, বেইলি ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। আমাদের কাছে বেইলি স্টক নেই। তাই মেরামতে সময় লাগবে। আমরা হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটে যোগাযোগ করেছি। এসব জেলা থেকে অ্যারেঞ্জ করে ব্রিজ সংস্কার করতে হবে। তবে আমরা বিকল্প চিন্তা করছি। এ খালের ওপর আমাদের আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা সেটির দুই পাশের অ্যাপ্রোচ ভরাট করতে পারি। তাহলে ১০-১৫ দিনের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।

Next Post Previous Post