গাইবান্ধা জেলায় জানুয়ারি -নভেম্বর মাস পর্যন্ত নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার -১৭৮

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : ২০২০ সালে গাইবান্ধা জেলায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৭৮টি। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানা গেছে, গাইবান্ধা সদরহাসপাতাল রেকর্ড ফাইল অনুযায়ী জানিয়াছেন সদর হাসপাতালের অফিস সহকারী মাসুদ মিয়া, গাইবান্ধায় ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এ প্রতিবেদন তৈরি করে, গত কয়েক বছর ধরে উদ্বেগজনক হারে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধিসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয় বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র গাইবান্ধা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী বলেন বিচারহীনতার সংস্কৃতি রুখতে হবে,সামাজিক অবক্ষয় জুয়া, মাদক, সন্ত্রাসসহ এগুলো নির্মুলে উদ্যোগ নিতে হবে। নারী প্রতি দৃষ্টি -ভঙ্গি পালটানো সহ তাদেরকে সম্মান করতে হবে। ছেলে মেয়েদের পাঠাগার তৈরি করে তাদের কাউন্সিলিং ব্যবস্থা করতে হবে, তাহলেই এটা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেগাইবান্ধা জেলা মহিলা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ বলেন নারীকে পুরুষতান্তিরিক না ভেবে নারীকে তার সম্মান হিসাবে দেখতে হবে।
উল্লেখ করে বলেন বেশির ভাগেই অল্প বয়সের মেয়েরা মোবাইল ফোন সহজলভ্যতায় পাওয়ায় নেটে পন্নগ্রাফিসহ অশ্লীলতায় মেতে উঠে এগুলো বন্ধ করতে হবে।
লেখক ও গবেষকরা বলছেন অল্প বয়সের মেয়েরা মোবাইল ফোন ব্যবহার মাধ্যমে প্রেমের সমপর্ককে দোষছেন বেশির ভাগই , প্রেমের সম্পর্ককে একপর্যায়ে তারা অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হয়, জোর করে ধষর্ণসহ, পরকিয়া সমপর্ক,স্বামী- স্ত্রীর মধ্য মনোমালিন্য এর কারন বলেও উল্লেখ করেন।
গাইবান্ধা জেলা জর্জ কোর্ট নারী – শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আইনজীবী এ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন মানুষের মাঝে নৈতিকতা একটি প্রধান কারন, ছেলে-মেয়েদের খেলা ধুলার চর্চা , সংস্কৃতি ভালো মানের বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে , সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে খেয়াল সহ সচেতনতা তৈরী করতে হবে। শুধু মাত্র আইন দিয়েই এইটা কমানো সম্ভব না।দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘটনাবহ ধষর্ণ, অন্যদিকে ধর্ষনের শিকার হওয়া পরিবারটি সারা জিবনের জন্য পারিবারিক ভাবে মুখলজ্জায় পরে যায়, এতে করে মেয়েটির জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার, আবার কোন সময় ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেচে নেয় বলে জানা গেছে।আবার কিছু পরিবার গরিব হওয়ায় যা প্রভাবশালীর খপ্পরে পরে ভিন্নখাতে রুপ নেয় যা কিছু টাকার বিনিময়ে মিমাংসাও হয়ে যায়। এছাড়াও শালিশ বৈঠক করে অনেকে মিমাংসা করে নেয়। এতে করে ওই ধর্ষণকারী আরো ভয়ংকর হয়ে যায়। আবার যথাযথ প্রমান না থাকায় আইনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায় ধর্ষণকারী।এবিষয়ে রাইট টু লাইফ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক খান মুহাম্মদ রোস্তম আলী সাথে কথা হলে তিনি বলেন মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন নিশ্চিত করলে তা জিরো টলারেন্স নিয়ে আসা সম্ভব বলে মনে করেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গাইবান্ধা সদরের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, আইনের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হওয়া মেয়েটির পূর্নবাসনসহ এর মানুষিক ভাবে বেড়ে উঠা ও তার বিনা খরচে আইনি সহায়তা প্রয়োজন বলেও মনে করেন। এতে করে আইনের মাধ্যমে ওই বখাটের শাস্তি যেমন নিশ্চিত হবে তেমনি শারিরিক নির্যাতনের শিকারও কম হবে।

Next Post Previous Post