রাজাপুর থেকে চুরি হওয়া ২টি গরু বরিশাল থেকে উদ্ধার, চোর চক্রের সর্দার আটক
রাজাপুর প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুর থেকে চুরি হওয়া ২টি গরু উদ্ধার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। একই সঙ্গে আন্তঃজেলা চোর চক্রের সর্দারকে আটক করা হয়েছে। আটক চোর সর্দার হলেন রাজাপুর থানার কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত ছমেদ হাওলাদারের ছেলে নুর আলম (৪৫)। বুধবার বেলা ১১টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মো. খাইরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, গত ১৯ জুন গভীর রাতে এয়ারপোর্ট থানাধীন উত্তর কড়াপুর এলাকার বাসিন্দা জাকির আহমেদ শাকিলের বাড়ি থেকে ৪টি গরু চুরি হয়ে যায়। এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানায় চুরির মামলা দায়েরের পর তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে গত ২২ জুলাই ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানা এলাকা থেকে বাদীর চুরি হওয়া ২টি গরুসহ মোট ৫টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৩ চোর কবির হাওলাদার, রফিক ও ছোট রেজাউলকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০ অক্টোবর রাতে এসআই দীপায়ন বড়াল ও এএসআই মহিউদ্দিন ও তাদের সঙ্গীয় ফোর্স ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা চোর সর্দার নুর আলমকে আটক করেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাউনিয়া থানাধীন লামছড়ি, চরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের কাছ থেকে ২টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। আটক চোর সর্দার নুরে আলমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উপ-পুলিশ কমিশনার খাইরুল আলম আরও জানান, আটক নুর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করেন প্রায় দেড় মাস আগে রাজাপুর থানার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের জনৈক কামাল খানের বাড়ি থেকে ২টি গরু চুরি করে বরিশালের লামছড়ির চরবাড়িয়া এলাকার আবুল হোসেনের কাছে ৮৫ হাজার টাকা দাম ধরে এক বছরের জন্য বর্গা দেওয়া হয়। চোর সর্দার নুরে আলম জানান, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় তার একটি সক্রিয় চোর চক্র রয়েছে। তার নেতৃত্বে এসব এলাকায় গরু চুরির ঘটনা ঘটতো।