অস্ত্র উদ্ধার : ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণ

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাসে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মীর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রাবাসে গিয়ে ঐ তরুণী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করেছে। শুক্রবার রাত ১০টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে,শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি প্রাইভেট কারযোগে স্বামীকে সাথে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা। বর্তমানে ঐ তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিলেটের এমসি (মুরারিচাঁদ) কলেজ থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে তরুণীকে ধর্ষনের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৭ কর্মীর নাম উঠে এসেছে। ধর্ষিতা তরুণীকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো,এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান রণি,তার সহপাঠী মাহফুজুর রহমান মাছুম, একই কলেজের শিক্ষার্থী এম সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর এবং বহিরাগত রবিউল ইসলাম ও তারেক আহমদ। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। অভিযুক্ত সাইফুর রহমানের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি দিরাইয়ে, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে, রণি হবিগঞ্জের ও তারেক জগন্নাথপুরের বাসিন্দা।
এদিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের ধরতে সাড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত এক ধর্ষকের বাসা থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি রামদা, দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম বলেন,আমরা রাতে এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিজান পরিচালনা করে সাইফুর রহমানে রুম থেকে অভিযান পরিচালনা করে ১ টি পাইপগান, ৪ টি রামদা, ১ টি চাকুসহ বিভিন্ন জিনিস আটক করি। এ ঘটনায় শনিবার সকালে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপর দিকে শনিবার সকালে ৯ জনকে আসামী করে শাহপরাণ থানায় ধর্ষিতার স্বামী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। এজহারনামীয় আসামীরা হলেন, এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আসামীদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।

Next Post Previous Post