‘মনে ওয় ই রাস্তার কোনো মাই-বাপ নাই, এর লাগি অউ রাস্তার অত বাদ অবস্থা হারা সমস্ত রাস্তা জুরি খালি শুধু গাত আর গাত,

মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: সড়ক যখন মরনের আরেক ফাঁদ হয়। তাহলে সড়কের কি আর প্রয়োজন? এমন প্রশ্ন এখন সড়কে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা বলেন, ‘মনে ওয় ই রাস্তার কোনো মাই-বাপ নাই, এর লাগি অউ রাস্তার অত বাদ অবস্থা। হারা সমস্ত রাস্তা জুরি খালি শুধু গাত আর গাত। দেখলে লাগে ইকানও পুসকুনি (পুকুর) করা অইছে।
সিলেটর বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক এখন হয়েছে সত্যি সত্যি একটি মরণ ফাঁদ! এসড়কের করুন পরিনতিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন দুই জেলার জনসাধারণ। জনবহুল প্রধান একটি সড়ক হচ্ছে সেটি। সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থেকে সিলেট জেলা সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের সাথে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ওই সড়কটি। ওই সড়ক দিয়ে সিলেট-রশিদপুর-বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুরসহ আশপাশ এলাকা থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যানবাহনে চলাচল করেন এবং ব্যবসায়ী কাজে পন্যবাহী ট্রাক দ্বারা মালামাল বহন করে থাকেন। সংস্কার কাজ করতে বিশ্বনাথ -জগন্নাথপুর সড়কের সাবব্যাচ ভরাট করে রেখে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এ সড়কে প্রচুর পরিমাণে সাগরের ন্যায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে সড়কে কাঁদা জমে জনসাধারণসহ রোগী নিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পন্যবাহী ট্রাকগুলো গর্তের মধ্যে ধাবীয়ে পড়ে যানচলাচলে বাধাঁ সৃষ্টি করে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় জনসাধারণকে। উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সুত্র জানায়, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর ১৩.৯ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজের ব্যয় বাবদ সরকার থেকে বরাদ্দ আসে প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা। আর ওই সংস্কার কাজের দায়িত্ব পায় শাওন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত ডিসেম্বর মাসে সড়ক সংস্কার ও প্রসস্থকরণের কাজ শুরু করা হয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাস আগে ওই সড়কের সংস্কার ও প্রশস্থকরণের কাজ শুরু হলেও নেই কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি। ধীরগতিতে চলছে কাজের মাত্রা। অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহনসহ পন্যবাহী বড়বড় ট্রাকগুলো। তাছাড়া সড়কের পাশে থাকা গাছগুলো কর্তন না করে সড়কের ভিতরে রেখেই ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে সংস্কার কাজ চলছে। যা ভবিষ্যতে আরো বড় ধরণের বিপদের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মনগড়া এমন কাজে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন সর্বস্থরের জনসাধারণ। এব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ জানান, করোনা ও বৃষ্টির কারণে সড়কের কাজ বন্ধ ছিল। এখন শুরু হয়েছে। বিধিমতে কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করা হবে।
Next Post Previous Post