বগুড়ার নন্দীগ্রামে ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা, ৮ মাসের গর্ভজাতক সন্তান নষ্ট
জিল্লুর রয়েল, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ৮ মাসের গর্ভজাতক সন্তান নষ্ট করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামে। ওই কিশোরী ধর্ষণের অপরাধে রফিকুল ইসলাম (৩২) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সে উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের দেওতা গ্রামের মৃত লাজেম উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম ওই কিশোরীর বাড়ির পাশে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতো। এ সুবাদে ওই কিশোরীর সাথে রফিকুল ইসলামের প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর সে ওই কিশোরীকে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়। তারপর ওই কিশোরী ও তার পরিবার রফিকুল ইসলামকে বিয়ে করার জন্য বারবার বলার পরেও কোন সাড়া দেয়নি। অবশেষে কুটকৌশল করে ওই কিশোরীর ৮ মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে ১৯ জুলাই ওই কিশোরী বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় পুলিশ ১৯ জুলাই রাতেই রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির বলেছে, ওই ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।