বিশ্বনাথে ঈদের দাওয়াতে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কোপালো বন্ধু!
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ঈদের পরদিন টেলিফোনে নিমন্ত্রণ পেয়ে রাতে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যান বিশ্বনাথ সদরের আল হেরা মার্কেটের ব্যবসায়ী রুসেল মিয়া (২৬) নামের এক তরুণ। বন্ধুর দেয়া চা ও কোমল পানীয় খেয়ে এক পর্যায়ে চেতনা হারান তিনি। পরে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী মাজারের বৈঠকখানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে করা হয় রক্তাক্ত জখম।
এসময় গ্রামের অন্য দুই সহপাঠী তাকে রক্তাক্ত দেখে ফেলায় প্রাণ রক্ষা হয় তার। উপস্থিত দু’জন অচেতন রুসেলের এ অবস্থার সঠিক জবাব না দিতে পারলেও অভিযুক্ত বন্ধুসহ তারা তাকে বাড়ি পৌছে দেয়। ঘটনাটি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার।
ঈদুল ফিতরে পরদিন (২৬ মে মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১০ টায় বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে কি কারণে এ ঘটনার জন্ম তা এখনো জানাতে পারেনি কেউ।
এ ঘটনায় রুসেলের চাচা আবদুল আলী (৩২) বাদী হয়ে রাজুসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে অভিযোগ (মামলা নাম্বার-১৬/২০২০, তাং-২৭ মে ২০২০ইং) দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, একই গ্রামের দরস মিয়ার ছেলে রুসেল মিয়া (২৬) ও রুশন খানের ছেলে রাজু খান (২১) পরস্পর বন্ধু হয়। রাজুর দেয়া ঈদের নিমন্ত্রণে ঘটনার রাতে তার বাড়ি যান রুসেল। সেখানে চা ও কোমল পানীয় পান করে চেতনা হারান তিনি। পরে পার্শ্ববর্তী মাজারের বৈঠকখানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে ধারালো অস্ত্র আঘাতে জখম করা হয় তার মাথা ও গলা। এসময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন গ্রামের আখলুছ মিয়ার ছেলে রুবেল আহমদ (২০) ও মৃত আপ্তাব মিয়ার ছেলে লিপন মিয়া (২১)। তারা সাইকেলের আলোয় দেখতে পান কে যেন কাকে টানে-হিঁচড়ে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত সামনে এগিয়ে তারা দেখতে পান রুসেলকেই জড়িয়ে ধরে আছে রাজু। উভয়েই রক্তাক্ত।
তারা জানতে চাইলে রাজু জানায়, ‘আমার বাড়ী থেকে যাবার পথে কে বা কারা তাকে জখম করেছে। সে আমাকে ফোন দেয়ায় আমি দৌড়ে এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পাই।’ পরে রাজুসহ তারা তিনজন মিলে রুসেলকে বাড়ি পৌছে দেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজু-রুসেলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে বড় অংকের পাওনা টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়েছেও বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মুসা জানান- এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত রাজুকে থানায় এনেছি। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।