উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
রফিক সরকার গোয়াইনঘাট (সিলেট) সংবাদদাতা : বিশ্বজোড়ে করোনাভাইরাসের থাবা কাটতে না কাটতেই এবার সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার হাওরঞ্চলের সিংহভাগ এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আমন, রোপা আউশ ও আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া অবিরাম বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের মানুষের স্বভাবিক জীবনযাত্রায় মান বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গত কয়দিনের অবিরাম বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটের পুর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং, রস্তমপুর, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও ও ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল এলাকা উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে । এতে এসব ইউনিয়নে বোনা আমন, রোপা আউশ ও আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে । এছাড়া এসব ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের প্রায় শতাংশ ৭০% রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যার পরিস্থিতি দেখতে গোয়াইনঘাট কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী উপজেলার বিভিন্ন বন্যায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মুহিবুর রহমান সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী জানান, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ১০/১৫ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা, ৩০ হেক্টর বোনা আউশ ও ৫ হেক্টর সবজিতলা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত ওই সব বীজতলা ও সবজিতলা ২/৩ দিনের মধ্যে শুকিয়ে গেলে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। তবে ৪-৫ দিনের অধিক সময় বীজতলা ডুবে থাকলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিব বলেন, ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এবং জাফলং চা বাগানের উপর দিয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এবং বন্যার পানি যদি আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বন্যায় জনগণের দুর্ভোগ লাগবে জন্য কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।