সাপাহারে ঘূর্ণিঝড়ে আম ও বোরো ধানের ব্যপক ক্ষতি

নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) : হতাশা যেন কাটছেই না নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আম চাষী ও কৃষকদের। একদিকে করোনা ভাইরাসে আম বাজার জাত নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে তার মধ্যে আবার হঠাৎ করে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সহ আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছ থেকে প্রায় শতকরা ৩ থেকে ৪ ভাগ আম ঝড়ে ঝরে পড়েছে। সকাল থেকে বাগানে বাগানে আম কুড়িয়ে বস্তা ও ক্যারেটে করে ১ বস্তা আম ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। জানা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় জেলার সাপাহার উপজেলায় সর্ববৃহৎ আমের বাজার গড়ে ওঠে। আড়ত মেরামতের কাজ প্রায় শেষ। ঈদের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান বা জেলা থেকে আম ব্যাপারীরা আম কেনার জন্য আসবে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমের কেনা বেচার কথা ছিল কিন্তু হঠাৎ আম্ফানের তান্ডবে উপজেলার আম চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল। দেখা যেত ঈদের পর আম কেনা বেচা শুরু হলে বাজার দর অনুযায়ী ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা দরে কৃষকের স্বপ্ন প্রথমে ওঠা বিভিন্ন জাতের আম গুলো বিক্রি হত। উপজেলার বেশকজন আম চাষী জানান, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে আসলে আমরা আমাদের আম গুলো বিক্রি করতে পারবো কিনা সে চিন্তায় আছি তার মধ্যে ঝড় ঝাপটা শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেও ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ঘুর্নিঝড় আম্ফান আবরো এই এলাকায় আঘাত হানল। আম্ফানের এই আঘাতে প্রতিটি বাগানে প্রায় অনেক আম মাটিতে ঝরে পড়েছে। এবারের ঝড়ে গাছ থেকে বড় সাইজের আমগুলিই ঝরে গেছে। বড় বড় গাছের ডাল ভেঙ্গে গেছে বলেও চাষীরা জানান। সাপাহার উপজেলা কৃষি অফিসার মুজিবুর রহমান বলেন, এবার ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এমনিতেই এবার বাগানগুলোতে আম কম ধরেছিল। তারওপর এই ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। শতকরা বাগান শুলো থেকে ৩ থেকে ৪ ভাগ আম ঝরে পড়ে এবং বোরো ধান ঝরে পড়ে কৃষকদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান কৃষি অফিসার।

Next Post Previous Post