শ্রমিক ব্যবসায়ীদে সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন ফারুক আহমেদ ও সামসুল আলম। জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি থেকে বালু-পাথর উত্তোলনে সব কার্যক্রম বন্ধ

রফিক সরকার গোয়াইনঘাট : সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার দুইটি পাথর কোয়ারি থেকে সকল প্রকার পাথর উত্তোলনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করেন জেলা-উপজেলা প্রশাসন। সম্প্রতি সিলেটে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের নির্দেশনায় গোয়াইনঘাটের নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব যোগদানের পর পরই জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রশাসনের কঠোর নিষেধাজ্ঞার ফলে জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথরকোয়ারি এলাকা থেকে বালু-পাথর উত্তোলনসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে দুটি পাথর কোয়ারির সাথে জড়িত কয়েক লক্ষাধিক শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বেকার অবস্থায় রয়েছেন। প্রশাসনের সেই নিষেধাজ্ঞা কারনে পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা রয়েছে বিপাকে। শ্রম-ব্যবসা না থাকার কারনে দিন দিন ভাড়ি হচ্ছে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের ঋনের বুজা। সেই শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের দুর্দশা ও আহাজাড়ি দেখে পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের সকল দাবি-দাওয়া আদায়ে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন গোয়েনঘট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ও উপজেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম। আজ বুধবার দুপুরে জাফলং এর মামার বাজার পয়েন্টে অচল পাথর কোয়ারি সচল করার লক্ষে শ্রমিকও ব্যবসায়ীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ একাত্মতা ঘোষণা করেন। পাথর কোয়ারী সচল করার দাবিতে আয়োজিত সভা উপলক্ষে সকাল থেকেই মামার বাজার পয়েন্টে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে শ্রমিকরা ব্যবসায়ীরা জড়ো হতে শুরু করে। উক্ত সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ও সামসুল আলম বলেন, আগে মানুষের জন্য আইন, আইনের জন্য মানুষ নয়। আগে খেটে খাওয়া মানুষের কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তার পর পর্যটন কেন্দ্র করোন। পর্যটনের পরিবেশ রেখে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারী চালু করার যথেষ্ট জায়গা রয়েছে আমাদের। সেই জায়গাগুলো থেকে অনতিবিলম্বে পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য জোর আহ্বান জানিয়ে তিনি আগামী দিনে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে সকল আন্দোলন সংগ্রামে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহ এলাকাবাসী।

Next Post Previous Post