গাইবান্ধায় আমন চারা সঙ্কটে গুরুত্ব রাখছে ভাসমান বীজতলা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় সম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় আমনের বীজতলাসহ চারার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় পচে নষ্ট হয়েছে বীজতলার চারা। ভরা মৌসুমে আমন ধান রোপণের সময় হলেও চারা সঙ্কটে ধান লাগাতে পারছে না কৃষকরা। সরকারি বেসরকারিভাবে বীজ সংগ্রহ করতে পারলেও নতুন করে চারা রোপণের জায়গাটিও পানিতে ডুবে থাকায় চারা বপন করা সম্ভব হচ্ছিল না। এমন সঙ্কট অবস্থায় জেলার ফুলছড়ি ,সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে কলার গাছের ভেলা বানিয়ে তার উপরে আদ্র মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভাসমান বীজতলা। কৃষি বিভাগের তৈরি এসব ভাসমান বীজ তলা দেখে ও তাদের পরামর্শে উৎসাহিত হয়ে কৃষক পযার্য়েও ব্যক্তিগতভাবে তৈরি করা হয়েছে আরও ৪২টি ভাসমান বীজতলা। সাধারণ বীজ তলার মতোই এ ভাসমান বীজতলা। চলতি আমন চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এসব ভাসমান বীজতলায় তৈরি চারা। চলছে পরিচর্যার কাজ । এসব বীজতলায় বীনা-১১ ও নাভি জাতের বীজ বপন করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের চারা সঙ্কট মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ডুবে থাকা জমির পাশাপাশি পুকুর ও ডোবায় স্বল্প সময়ে ও কম খরচে এই পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করে চারা উৎপাদন করতে পেরে খুশি কৃষকরা। কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন বন্যায় পানিতে আমার বীজতলার চারা (বীসন) নষ্ট হয়ে গেছে। আমি ভাসমান বীজতলা তৈরি করেছি। চারা এখন রোপণের উপযোগী। জমি থেকে পানি নেমে গেলেই ধান লাগানো শুরু করব। একটু সময় সাপেক্ষ হলেও আমনে এবার ভালো ধান পাবো। ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের চারা সঙ্কট মেটাতে ভাসমান বীজতলার পাশাপাশি ১৪ একর কমিউনিটি বীজতলা তৈরি করা হয়েছে । পাশাপাশি কৃষকদের এই বীজতলা তৈরির পদ্ধতি ও আমনের বীজসহ বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বন্যায় নিমজ্জিত এলাকার জমিতে এ ধরনের ভাসমান বীজতলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি। এ দিকে বন্যা কবলিত ও নিম্ন অঞ্চলে এ ধরনের বীজতলা ধানের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।



from BDJAHAN https://ift.tt/2KGZk0Y
via IFTTT
Next Post Previous Post