কেশবপুরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে গত ৩ সপ্তাহে আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা ২২ জন
এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) থেকে : যশোর জেলার কেশবপুরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে গত ৩ সপ্তাহে আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা ২২ জন। এর মধ্যে অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গিয়েছে অনেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ও খুলনা ২৫০ বেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্তরা জানান, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ব্যাথা অনুভব করছেন। ডেঙ্গু রুগীর আক্রান্ত আব্দুর রহমানকে ১০ আগস্ট খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছিল ও মাসুদকে যশোর সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বাকি ডেঙ্গু আক্রান্ত রুগীর মধ্যে কেউ কেউ এখনও পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। আবার এর মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
জানাগেছে, গত ৩ সপ্তাহে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। তারা হলেন উপজেলার সাতাইশকাটি গ্রামের আব্দুল জব্বার মোল্যার ছেলে শাহিন আলম মোল্যা (২৫), চিংড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী পপি খাতুন (৩২), মূলগ্রামের গৌরঙ্গ অধিকারীর স্ত্রী মধুমিতা অধিকারী (৩০), একই গ্রামের মানিক অধিকারীর স্ত্রী কবিতা অধিকারী (৩৮), জাহানপুর গ্রামের মদন দাসের স্ত্রী শ্যামলী দাস (২৮), শ্রীফলা গ্রামের মৃত শিবুপদ দের ছেলে ব্যবসায়ি তরুন দে (৩৫), আলতাপোল গ্রামের মৃত জয়কৃষ্ণ সেনের ছেলে সনাতন সেন (৩৫), কন্দর্পপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মফিজুর রহমান (৩০), বাউশলা গ্রামের মৃত কেরামত খানের ছেলে আব্দুল জলিল (৪০), কলাগাছি গ্রামের হযরত আলী শেখের স্ত্রী সেলিনা বেগম (২৭), মঙ্গলকোট গ্রামের আবু বক্কার মোড়লের ছেলে আব্দুর রহমান মোড়ল (২৩), আলতাপোল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাসুদ (২৬), জাহানপুর গ্রামের রবিন দাসের স্ত্রী অনীতা দাস (৩৫), সাগরদত্ত কাটি গ্রামের ওসমান সরদারের ছেলে জিয়ারুল সরদার (৩৫), মণিরামপুর উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার দফাদারের মেয়ে হাবিবা (১৬), কেশবপুর উপজেলার সাতাইশকাটি গ্রামের ছায়েরুন্নেছা বেগম (৪৫), ভোগতি গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে নূর আলম (৩৫), মণিরামপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রাজু আহম্মেদ (২০), কেশবপুর উপজেলার কোমরপোল গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে ফারিয়া (সাড়ে ৪) আলাতাপোল গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে সুরাইয়া খাতুন (১৮) ও মজিদপুর গ্রামের জোহুরুল হকের ছেলে শাহানাজ বাবু (২০)।
ডেঙ্গু আক্রান্ত আব্দুল জলিলসহ অনেকেই জানান, আমরা বেশিরভাগে বিভিন্ন জায়গায় শ্রম দিয়ে থাকি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহসানুল মিজান রুমী বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত স্ট্রীপ রয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের মশারির মধ্যে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া প্রতিদিন কমবেশী শিশু, কিশোর, নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীরা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। এব্যাপারে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল জানান, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে নিয়মিত সভা করে কার্যকারি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে মেয়রের নের্তৃত্বে প্রতিটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতা মূলক উদ্বুদ্ধকরণ সভা করা হয়েছে এবং পৌরসভার অধ্যান্তরে সমস্ত জঞ্জল, আর্বজনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন পৌরসভার পক্ষ হতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশা নিধন ঔষধ স্প্রে করা হচ্ছে। এদিকে অন্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিঙ্গাপুর থেকে এডিস মশা নিধনের জন্য ঔষুধ আমদানী করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে এডিস মশা নিধনের জন্য প্রয়োগ করা হচ্ছে।
from BDJAHAN https://ift.tt/31Pth4O
via IFTTT