শিবগঞ্জে জন্মের পর শিশু ছানি বিরল রোগে আক্রান্ত, সবার সহায়তায় সুস্থ জীবনে বেঁচে থাকার আকুতি!

খলিলুর রহমান আকন্দ : জন্মের মাত্র ৩মাস পর অতিমাত্রায় জ্বর আর খিচুনি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে শিশু ছানি। সেই থেকে অসয্যযন্ত্রনা আর কষ্টের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকার আকুতি ছানির। আমরা ছানির সু-চিকিৎসা আর এ যন্ত্রনা মুক্তির চেষ্টায় সহায় হই।
বিরল এক রোগে আক্রাস্ত বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের দিনমজুর বাবা আমিনুল ইসলাম ও মাতা সাহেনা বেগমের শিশু ছানির বয়স এখন ৩ বছর। বড় আদর নিয়ে বাবা-মা তার নাম দিয়েছে “আল সাহরিয়া ছানি। শিশু ছানির শরীরে অসয্যযন্ত্রনা খিচুনি আর অস্বাভাবিক জ্বর পরিবারের সবাইকে ভাবিয়ে তোলেছে। মা সাহেনা বলেন,‘অন্য শিশুরা তাকে ঘৃণা করে। এ রোগের কারণে তাকে নোংরা মনে করে। সে আরো জানান, তার ছেলে কোথাও যেতে পারে না বছর ধরে বাড়িতেই থাকেন। ছানিকে দেখে অনেকেই ভয় পান আর তাকে উদ্দেশ্য করে আজেবাজে কথা বলেন। গায়ে পোষাক পড়তে পারেন না সে। এ কারণে তাকে বাড়ির ভেতরে রাখেন মা সাহেনা। বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুটিকে যে কেউ দেখলে চোখে পানি এসে যাবে।
কথা হয় ছানির বাবা আমিনুল ইসলামের সাথে, আল্লাহর কাছে ছেলে চেয়ে ছিলাম পেয়েছি। সখের বসে নাম রাখলাম ছানি। এখন সে বড় রোগে আক্রাস্ত। আমিনুল আরোও জানায়, অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি কাজ করে তার সংসার চলে। সে থেকে জমানো ও এনজিও থেকে কিস্তিতে ঋৃনের টাকায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হার্ডের ডাক্তার আবুল আলমের কাছে ছেলের চিকিৎসা করছেন ৩ বছর ধরে। এছাড়াও ডাক্তার আতিকুর রহমান, লিয়াকত আলী, সিবলি হায়দার ও ডাক্তার নোমান চৌধুরির কাছেও চিকিৎসা করেছেন।
ডাক্তার রিপোট দেখে বলেছে, তার হার্ডের রোগ! হার্ড ফুটা হয়েছে। দেশে চিকিৎসা করতে এক থেকে দেড় লাখ টাকার প্রয়োজন। বিদেশে চিকিৎসা করতে পারলে ভালো। ডাক্তার প্রতিবেদকে জানান, এই রোগে সাধারনত অতিমাত্রায় জ্বর খিচুনি ও প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে।
বতমানে অর্থাভাবে শিশুটির চিকিৎসা তো দুরের কথা, আমিনুলের সংসার চালাতে দায় হয়েছে। সে আরো বলেন, আমার কাছে আর এক পয়সাও নেই। নিজেরও শশুড়ের যা ছিল, তা দিয়ে ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় প্রায় দেড় লাখ টাকা শেষ। বেশ কিছু দিন ধরে তাকে আর ডাক্তার দেখানো হয় না।’ বাচ্চাটা আমার চোখের সামনে অসয্যযন্ত্রনা আর ব্যথায় ছটফট করে সয্য করতে পারি না, এই বলে বাবা ডুকরে কেদে উঠে।
ছানির মা সাহেনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাই। সস্তানের কষ্টের বর্ণনা দিয়ে সেও ডুকরে কেদে উঠে। শিশু ছানির চিকিৎসার সহায়তা পাঠাতে “০১৭৪৫২১৩৭৯৩ (বিকাশ) নাম্বার ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শিবগঞ্জ কিচক হিসাব নং-৯৯০১১৮১২১৯০৭২ ব্যবহার করুন। হয়তো আপনার সামান্য সহায়তায় শিশু ছানি ভাল হয়ে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনে ফিরতে পারে।



from BDJAHAN http://bit.ly/2W7Ja3t
via IFTTT
Next Post Previous Post