বৈরি আবহাওয়া আর ফাল্গুনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতেনবাবগঞ্জে ২০টি ইটভাটায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম এ সাজেদুল ইসরাম(সাগর) : বৈরি আবহাওয়া আর ফাল্গুনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি ইটভাটায় ইটভাটা শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মতো বৈধ-অবৈধ অসংখ্য ইটভাটা। ইট প্রস্তুতকরণের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কাঁচা মাটি থেকে প্রায় ১শ কোটি ইট প্রস্তুত করেন ভাটা মালিকেরা। প্রথম দিকে চার পাঁচ রাউন্ড নতুন ইট ভাটা থেকে বের করে ব্যবসায়ীরা। দামও গত বছরের তুলনায় অনেক কম। এরপর জালানি কয়লার দাম দিগুন বেড়েছে। যার কারনে ইটভাটার এ শিল্প ধরে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। এ পেশার সাথে জড়িত থাকা শত শত শ্রমিক কষ্টে দিনাতিপাত যাপন করছেন। ভাটা ঘুরে দেখা গেছে পানি ক্ষতিগ্রস্থ কাচা ইটগুলো ভেঙ্গে পড়ছে। মাঠের পর মাঠ লাখ লাখ কাচা ইট গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারনে নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা সদরে রামপুর বাজারের ভাটা মালিক মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, ১নং ইট ৭ হাজার, ২নং ৬ হাজার, ৩নং ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। মাঝপথে অসময়ে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত আর বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে আগুনে পোড়ার আগেই পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে কাঁচা ইট। বর্তমানে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মজুদ পরিমাণ ইট না থাকায় অনেক ভাটার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে ভাটা মালিকেরা আর্থিক দিক থেকে লোকসানের হিসাব গুনছেন। নবাবগঞ্জ উপজেলার ২০টি ইট ভাটায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি টাকা।এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আ.লীগ নেতা মো. হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা জানান, এ উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ অধিক। ৭নং দাউদপুর ইউনিয়নের খয়েরগুনি এলাকায় এমএইচবি ভাটায় ১০ লাখ, এবি ইট ভাটায় ২০ লাখ, ২০ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইট ভাটা মালিক ফটিক চৌধুরী, আজিজুল হক, আনোয়ার হোসেন, মাসুম বিল্লা দাউদপুর আবু সায়েম সাহাদত , শফিকুল ইসলাম ডলার তারা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তারা নতুন করে ইট প্রস্তুত করবে।



from BDJAHAN https://ift.tt/2ECNfH7
via IFTTT
Next Post Previous Post