সরাসরি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের
ক্রীড়া প্রতিবেদক : নতুন বছরের শুরুর দিনেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আইসিসির বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট দুই বছর সময়ের মধ্যে মাপকাঠি অনুযায়ী টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। নিয়ম অনুযায়ী র্যাংকিংয়ের ওপরের ৮টি দল সরাসরি খেলতে পারবে মূলপর্বে। বাকিদের আসতে হবে বাছাইপর্ব পার হয়ে। টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১০।
অবস্থানের কারণেই সরাসরি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে পারবে না সাকিব আল হাসানরা। তাদের পার করে আসতে হবে বাছাইপর্ব। তাদের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কাকেও খেলতে হবে বাছাইপর্ব। ২০২০ সালের অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এ আসরে আইসিসির নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী মূলপর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১২ দল নিয়ে। তার মধ্যে র্যাকিংয়ের যোগ্যতা অনুযায়ী ৮ দল সরাসরি চলে গেছে মূলপর্বে। ২০১৮ সালের শেষ র্যাংকিং অনুযায়ী টি-টোয়েন্টির শীর্ষ আট দল পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান।
সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। তবে হতাশার পাশাপাশি দু’জনই আশাও দেখছেন। দলকে নিয়ে দু’জনই আত্মবিশ্বাসী।
আইসিসিকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় সাকিব বলেন, ‘এটা হতাশাজনক যে আমরা সেরা ১২ তথা মূলপর্বে জায়গা পাইনি। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী গ্রুপপর্ব পার করে টুর্নামেন্টের মূলপর্বেও ভালো খেলবো আমরা। নিজেদের দিনে আমরা যে কাউকে হারানোর সামর্থ্য রাখি এবং টুর্নামেন্টে ভালো না করার কোনো কারণ দেখছি না আমি।’ সাকিব আরও বলেন, ‘আমাদের এখনো সময় আছে হাতে, বিশ্বকাপের আগের সময়ের সেরা ব্যবহারই করতে হবে আমাদের। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গিয়ে আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এসেছি। সে সিরিজের পারফরম্যান্স আমাদের অনেক বিশ্বাস জুগিয়েছে যে আমরাও বিশ ওভারের ক্রিকেটে ভালো খেলতে পারি।’
from BDJAHAN http://bit.ly/2LGQGyF
via IFTTT