বিশ্বনাথে মসজিদ নির্মাণের জন্য নগদ অর্থ দিয়েছে  আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট 

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে দশদল বায়তুল নাজাত জামে মসজিদ নির্মাণ কাজের জন্য  আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের উদ্যোগে রামপাশা ইউনিয়নের দশদল বায়তুল নাজাত জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. আবুল কাশেমের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। (৮ মার্চ) আজ সোমবার দুপুরে এলাহাবাদ রহমান মনজিলে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তেলিকোনা গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বী হাজী বাদশা মিয়া , হাজী নৌশা মিয়া , মুরব্বী জবেদ মিয়া , মুতওয়াললী হাজী আবুল লেইছ -হাজী আকলিস হোসেন , আলী , হাজী মনু মিয়া ,মুরব্বী আছকির মিয়া , মুরব্বী কমর উদ্দীন, শাহ তুফাজজুল হোসেন ভান্ডারী, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সদস্য নুর উদ্দিন, ব্যবসায়ী মুজাহীদ আলী প্রমুখ।
হাদিস শরিফে এসেছে, পৃথিবীর মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ স্থান হচ্ছে মসজিদ। আর সবচেয়ে নিঃকৃষ্ট স্থান বাজার। পৃথিবীর শান্তিময় সুখের জায়গা হচ্ছে আল্লাহর ঘর মসজিদ! এ সুখের ঘর যে নির্মান করেন, আল্লাহ তায়ালা তাদের সুখের সকল ব্যাবস্থা করে দেন।
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট বাংলাদেশ সভাপতি ও এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাওলানা মুখলিছুর রহমান তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করাই মানুষের দায়িত্ব। পৃথিবীতে মানব জীবনের মূল মিশনই হচ্ছে মানবতার কল্যাণের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করা। আর মানব জীবনের প্রত্যেকটি ভাল কাজ হচ্ছে ইবাদত। ক্ষধার্তকে খাদ্য দান, তৃঞ্চার্তকে পানি দান, বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান, চক্ষুহীনকে চক্ষুাদান, শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান এবং পীড়িতের সেবা-শুধার মধ্য দিয়েই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। কবি বলেছেন ‘আপনার লয়ে বিব্রত রাহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে, সকলে আমরা সকলের তরে, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’।
আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র উদ্যোগে ইতিমধ্যে সিলেটের বিশ্বনাথ  বিভিন্ন এলাকায় গৃহ নির্মাণ, সেলাই মেশিন বিতরণ, রিক্সা বিতরণ, টিউব ওয়েল বিতরণ সহ অন্ধদের অন্ধত্ব দূরীকরণ ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণ প্রতিবন্ধীদের উন্নত চিকিৎসা ও চেয়ার  কাজ করে যাচ্ছে।
যাদের সহযোগীতায় মসজিদে নগদ টাকা দেন  উল্লেখ যোগ্য হাজী রফিক উদ্দীন লুটন, হাজী আবুল বাসার, লুটন হাজীয়া সপ্না খাতুন
মাওলানা সিদ্দিক রহমান, ফাতেমা আক্তার নার্গিস, ইমাম নুরুর রহমান, মাওলানা রুম্মান আহমেদ, লুটন মুর্শেদা খাতুন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লেল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করেন। সবাই আল্লাহর ঘরের জন্য শরীক হতে পারেন।যা সাদগায়ে যারিয়া বলে কবুল হবে।
ফি আমানিল্লাহ।
Next Post Previous Post