জাফলং নদীতে ২দিন পর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতার মরদেহ উদ্ধার আটক ৩

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের ডাউকি নদীতে শফিকুর রহমান নামের স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। আজ
বুধবার (২০জানুয়ারি) বেলা ১ টার দিকে জাফলং চা বাগান সংলগ্ন এলাকার ডাউকি নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশ সদস্যদের খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে সনাক্ত করেন লাশটি নিখুজ শফিকুর রহমানের। নিহত
শফিকুর রহমান উপজেলার লাবু উত্তর পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহিম আলীর ছেলে ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম আলী বাদী হয়ে ১০-১২ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার নামীয় তিন জনকে আটক করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার জাফলং চা বাগানের কেন্দুর ছেলে স্বপন ও চাউরাখেল গ্রামের সংকরের ছেলে অমূল্য এবং নয়াবস্তি গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে আব্দুর নূর।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে শফিকুর রহমানসহ কয়েকজন শ্রমিক ডাউকি নদীর জাফলং চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় পাথর উত্তোলন করতে যায়। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় শফিকুর রহমানের সঙ্গী বাছিরসহ ৫ জন আহত অবস্থায় হামলাকারীদের হাত থেকে দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারলেও শফিকুর রহমান নদীতে পড়ে মুহুর্তেই তলিয়ে যায়।
নিখোঁজের পর গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি সদস্যরা যৌথভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিনভর চেষ্টা চালিয়ে তার কোন সন্ধান না পেয়ে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন বুধবার দুপুরে ডাউকি নদীতে শফিকুর রহমানের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই আব্দুল মান্নান ও আবুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
শফিকের মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় মামলার এজাহার নামীয় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি এঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামিদের আটকে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

Next Post Previous Post