মাল্টা চাষ করে সফল শরীফ : বাগানে গাছে থোকায় থোকায় রসালো ও মিষ্টি সবুজ মাল্টা
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : চাকুরি পিছে না ছুটে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় পৌর এলাকার সুইগ্রামে সফল উদ্যোগক্তা হিসাবে রসালো ও মিষ্টি সবুজ মাল্টা বারি ১ চাষাবাদ করে প্রায় আড়াই বছরে মধ্যেই সফলতা পেয়ে ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভবণার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে মাল্টা চাষী শাহ মোঃ শরীফুজ্জামান শরীফের। এ গ্রামের উচু আবাদি জমিতে চারিদিকে কাটাতারের বেড়া দিয়ে ও দেশীয় লেবুর গাছ রোপন করা পাশাপাশি প্রায় একর জমি জুড়ে ২৫০ টি মাল্টা গাছ রোপন করে প্রতি মৌসুমে ৮০ হতে ১০০ মন মাল্টা উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছেন এ চাষে তিনি নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে শতভাগ আশাবাদি। দিন যত যাবে তার এ বাগানে উৎপাদন আরো বাড়তে থাকবে।
জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম পলাশবাড়ীতে বানিজ্যিক ভাবে মাল্টা চাষীর এ চাষাবাদ উৎপাদন মুখি ব্যবসা সফল ফসল সবুজ মাল্টা বারি ১ জাত এসব চাষাবাদে ভালো ফলন পেয়ে ভাগ্য পরিবর্তনে আশার আলো দেখছেন সফল উদ্যোগক্তা মাল্টা চাষি শাহ মোঃ শরীফুজ্জামান শরীফ । তার এ মাল্টা অন্যসব মাল্টার চেয়ে রসালো ও মিষ্টি এসব মাল্টা বাগানে প্রতিদিন দূর দূরান্ত হতে উৎসাহী মানুষেরা আসছে এ মাল্টা বাগান দেখতে । বাগান ঘুরে দেখার পাশাপাশি মাল্টা চাষী শরীফের নিকট নিচ্ছেন বাগান তৈরীতে পরামর্শ । বাগান ঘুরে দেখা যায় বাগানের প্রতিটি গাছে ছেয়ে গেছে মাল্টা । প্রতিটি গাছের পাতার চেয়ে মাল্টাই যেন বেশী। এসব মাল্টা অধিক সময় ধরে গাছে রাখলে আরো রস যেমন বৃদ্ধি হয় তেমনি মাল্টার কালার আসে পরিপূর্ন । বাগানের দর্শনার্থীরা জানান, এ মাটিতে মাল্টা চাষে উৎপাদন ব্যাপক বেশী। আরো বড় পরিসরে বাগান করতে সরকারি ভাবে সহযোগীতা করা হলে আরো উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে । এর স্বাধ এতো আর অন্যসব মাল্টার চেয়ে রসে ভরপুর আর মিষ্টিও প্রচুর । এসব মাল্টা গ্রাহক এববার খেলে এর চাহিদা ব্যাপক ভাবে বেড়ে যাবে।
সফল মাল্টাচাষী শাহ মোঃ শরীফুজ্জামান শরীফ জানান, বাগানের প্রতিটি গাছে সর্ব নিম্ন ২০ কেজি হতে ত্রিশ কেজি পর্যন্ত ফলন পেয়েছি। প্রথম দিকে এসব মাল্টা বিক্রিতে হতাশা থাকলেও বর্তমান সময়ে এর চাহিদা দ্বিগুণ হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা সহ পাশ্ববর্তী উপজেলা গুলো হতে প্রতিদিন মাল্টা পাইকারীভাবে ক্রয় করছেন ফল ব্যবসায়িগণ এছাড়া উৎসক আগত জনসাধারণ এসব মাল্টা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন । সুস্বাধু ও রসালো মিষ্টি এসব সবুজ মাল্টা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিধায় বর্তমান সময়ে ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে । তিনি জানান ,ইতিমধ্যে তার এ মাল্টা বাগানে জেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা , উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান , উপজেলা নির্বাহী অফিসার , উপজেলা কৃষি অফিসারসহ ব্লকের কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিনে এসে বাগান পরির্দশন ও আমার বাগানে মাল্টা খেয়েছেন । তারা সকলেই আমাকে চাষাবাদে উৎসাহ ও পরামর্শ প্রদান করেছেন। তিনি আরো জানান,যেহেতু বাজারের যে সব মাল্টা পাওয়া যায় তার চেয়ে আমার বাগানে উপাদিত মাল্টা রসালো সুস্বাধু মিষ্টি হওয়া সরকারি পোষ্টপোষকতা বা আর্থিক ভাবে সহযোগীতা পেলে বানিজ্যি ভাবে আরো উৎপাদন বাড়াতে বাগানটি আরো বড় করা হলে আমাদের জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশ বিদেশে এসব মাল্টা রপ্তানি করা সম্ভব হতো। পরে তিনি তার বাগানের গাছ গুলোতে উৎপাদিত মাল্টা গুলো দেখান ও জানান, এ বাগানটি আরো বড় করতে পারলে এখানেও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি যেমন হবে তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে নতুনমাত্রা। তিনি বলেন আমার পরিবারের এখানে আরো জমি আছে যদি আর্থিকভাবে সহযোগীতা পাই তাহলে আমার বাগানটি আরো বড় ও দর্শনীয় স্থান হিসাবে ব্যানিজ্যিক ভাবে দাড় করানো সম্ভব হতো এবং আরো এমন চাষাবাদে উদ্যোগক্তা বাড়ানো যেতো।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আজিজুল ইসলাম জানান, এরকম ফল উৎপাদনে আগ্রহী উদ্যোগক্তাগণকে অধিক ফলনে উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি নানা প্রকার কৃষি সহায়তা প্রদানে কাজ করছে কৃষি বিভাগ । গাইবান্ধা জেলার মধ্যে পলাশবাড়ী উপজেলায় এ বাগানটিতে বানিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষের এই সফলতা নতুন সম্ভাবণার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে। তিনি জেলা সরকারি কর্মকর্তা এ সম্ভাবণাময় বাগানটি পরির্দশনসহ সরকারের পাশাপাশি কৃষি সেক্টর নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে এসব কৃষক ও সফল উদ্যোগক্তাদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান।