১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলছে লাউয়াছড়া ও মাধবকুন্ড
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : পর্যটকদের জন্য সিলেট বিভাগের অন্যতম আকর্ষণীয় দুটি স্থান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ১ নভেম্বর (রোববার) থেকে খুলছে। করোনা সংক্রমণের কারণে প্রায় ৭ মাস বন্ধ ছিলো এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই দুটি স্থান। ১ নভেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকরা লাউয়াছড়া ও মাধবকুন্ডে যেতে পারবেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোন-এর ফেসবুক পেজ থেকে বুধবার (২৮ অক্টোবর) এ তথ্য জানানো হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোন-এর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়- ১ নভেম্বর থেকে খুলছে মৌলভীবাজার জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবকুন্ড ইকোপার্কসহ বন বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন সকল দর্শনীয় স্থান ও ইকোপার্ক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দর্শনার্থীগনকে প্রবেশ করার জন্য পর্যটন সংশিষ্টসহ সকলকে অনুরোধ করা হল।
বন বিভাগের পক্ষ থেকেও এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১২৫০ হেক্টর জমি নিয়ে লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ১৯৯৬ সালে এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। উদ্ভিদ আর প্রাণীবৈচিত্রের আঁধার এই বন বিভিন্ন বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। বন বিভাগের হিসেব মতে, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫৯ প্রজাতির সরীসৃপ (৩৯ প্রজাতির সাপ, ১৮ প্রজাতির লিজার্ড, ২ প্রজাতির কচ্ছপ), ২২ প্রজাতির উভচর, ২৪৬ প্রজাতির পাখি ও অসংখ্য কীট-পতঙ্গ রয়েছে। এই বনে বিরল প্রজাতির উল্লুক, মুখপোড়া হনুমান , চশমাপড়া হনুমানও দেখতে পাওয়া যায়।
অপরদিকে, মৌলভীবাজার জেলার বড়লখো উপজলোয় মাধবকুন্ড জলপ্রপাতটি বাংলাদেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত। প্রায় ২০০ ফুট উঁচু টিলা হতে পাহাড়ি ঝর্নার পতিত জলরাশি পর্যটকের জন্য আকর্ষণীয়। এ জলপ্রপাতের নিকটেই খাসিয়া নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। জলপ্রপাতের চতুর্দিকে বিশাল বনভূমি অবস্থিত। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত সংলগ্ন কুন্ডে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চৈত্রমাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে বারুনী স্নান হয় এবং মেলা বসে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এটি একটি তীর্থ স্থান।