গাইবান্ধায় নিম্নচাপে পানিতে ভাসছে ১২ হাজার হেক্টর আমন ধান : কৃষকরা বিপাকে

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : গত তিনদিন অব্যাহত ছিল মাঝারি ধরণের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে গাইবান্ধায়। এমন বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর আমন ধান পানির উপরে দুলে পড়ছে। ফলে এসব আমন ক্ষেত ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। সোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।জানা য়ায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গাইবান্ধা জেলার সর্বত্র বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঝারি ধরণের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচারণে কৃষকদের রোপা আমন ধানের গাছগুলো হেলে পড়েছে পানির উপরে। ফলে এসব ক্ষেতের ফসলহানীর শঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা।এমন পরিস্থিতির শিকার কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষার চেষ্টায় হেলে পড়া ধান গাছগুলো খাড়া করে এবং তা গোছা বেঁধে রাখতে শুরু করেছে।
এদিকে, কৃষি নির্ভশীল গাইবান্ধা জেলায় গত মাসে বয়ে গেছে ভয়াবহ বন্যা। এ বন্যায় নিম্নাঞ্চলের কৃষকদের রোপা আমন ধানসহ হাজার হাজার হেক্টর ফসলাদির ক্ষতি হয়েছে। এসময় উঁচু এলাকার আমন ধানের ক্ষেতগুলো আংশিক ক্ষতি হলেও অধিকাংশ ক্ষেতের ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে ওইসব আমন ক্ষেতে ধান বের হতে শুরু করছিল। এরই মধ্যে নিম্নচাপের প্রভাবে ধান গাছগুলো হেলে পড়েছে পানির উপরে। হেলে পড়া এসব ফসল ঘরে তোলা সম্ভব নয় বলে ধারণা করছে প্রান্তিক কৃষকরা। দফায় দফায় এমন দুর্যোগের কবলে অপূরণীয় ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এমন দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কৃষক মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইতিপুর্বে বন্যার তান্ডবে সর্বশান্ত হয়েছি। এটি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ঋণ করে ২ একর জমিতে আমন ধান রোপন করাসহ শাক-সবিজ চাষাবাদ করেছিলাম। ফের বৈরী আবহাওয়ায় এসব ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে গাইবান্ধার ৭টি উপজেলার ১২ হাজার হেক্টর আমন ধানে দুলে পড়ছে। এসব ফসল রক্ষায় করণীয় শীর্ষক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।

Next Post Previous Post