গোয়াইনঘাটে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
রফিক সরকার গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ওউজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ৬ষ্ঠ ভারের মতো বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সর্বত্র । কয়েক দিনের ব্যবধানে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৬ দফায় বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে এই এলাকায় নিম্নাঞ্চল। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার হাওরঞ্চল সহ সিংহভাগ এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আমন, রোপা আউশ ও আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া অবিরাম বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান বিপর্যয় দেখা দিয়েছে চরম আকারে। গত কয়দিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার পুর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং, রুস্তমপুর, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও ও ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল এলাকার উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে । ঘনঘন বন্যা ও বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এসব ইউনিয়নে বোনা আমন, রোপা আউশ ও আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে । এছাড়া এসব ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের প্রায় শতাংশ ৮৫% রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যার পরিস্থিতি দেখতে গোয়াইনঘাট কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী উপজেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মুহিবুর রহমান সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী জানান, আমাদের এই উপজেলায় গত কয়েক দিনের মধ্যে কয়েক দফা বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কিছু আউশ ধানের ক্ষতিক্ষতি হয়েছে। এবং প্রায় ৩ হাজার হেক্টর বোনা আমন ও বীজতলার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৮-১০ হেক্টর সবজিতলা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত ওই সব বীজতলা ও সবজিতলা ২/৩ দিনের মধ্যে শুকিয়ে গেলে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। তবে ৩-৪ দিনের অধিক সময় বন্যার পানি বীজতলা ডুবে থাকলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিব বলেন, কয়েক দিন ধরে অতি মাত্রায় বৃষ্টির কারনে ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এবং আমরা সার্বক্ষণিক বন্যাকবলিত এলাকার খোঁজখবর নিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। এবং বন্যার পানি যদি আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বন্যায় জনগণের দুর্ভোগ লাগবে জন্য কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।