নওগাঁয় অসহায় ও দু:স্থদের পাশে আরকো : আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন উপকরন বিতরন অব্যাহত
শ্রী মনোরঞ্জন চন্দ্র, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় বন্যা দুর্গত এবং কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কর্মহীন এবং অতিদরিদ্র মানুষের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা ও বিভিন্ন উপকরন বিতরনে এক মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পল্লী সহযোগী বিষয়ক সংস্থা (আরকো)। বন্যা দুর্গত ও করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রতিটি অসহায় ও দু:স্থ পরিবারের মাঝে এক মাসের খাদ্য সহায়তা বাবদ নগদ অর্থ এবং গবাদিপশুর খাবার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমগ্রী বিতরণ করছে সংস্থাটি।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউকেএইড ও স্টার্ট ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় র্যাপিড রেসপন্স ফর ফুড ফ্লাড এফেক্টেড পিপল অব নওগঁা প্রকল্পের আওতায় এই সহায়তা প্রদান করছে আরকো। জেলার আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া ও কালিকাপুর এবং মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ও কালিকাপুর এই ৪টি ইউনিয়নে এই কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও সরকারের পাশাপাশি এই অঞ্চলগুলোতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করনীয় জরুরী বিষয়ে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকে প্রচার, সচেতনমূলক লিফলেট বিতরন এবং জীবানুনাশক স্প্রে করাসহ নানা রকমের জনকল্যাণ মূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দিনব্যাপী নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত ও করোনা সংকটে অসহায় ৪৫০টি পরিবারের মাঝে আরকোর উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা বাবদ নগদ ৩হাজার টাকা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হাইজিন কিট, ১প্যাকেট মাস্ক, ১০টি করে সাবান ও ১করে ট্যাবযুক্ত বালতি বিতরণ করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরকোর নির্বাহী পরিচালক সজল কুমার চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, স্টার্ট ফান্ডের প্রতিনিধি এনামুল হক, আরকোর প্রতিনিধি বিষ্ণু কুমার দেবনাথ প্রমুখ।
সজল কুমার চৌধুরী বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় জেলার মান্দা ও আত্রাই উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত ও করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ১হাজার ৩০০পরিবারকে এই সহায়তা দেওয়া হবে। নূন্যতম চারজন সদস্য ধরে প্রতিটি পরিবারকে ১মাসের খাদ্য সহায়তা বাবদ নগদ ৩ হাজার টাকা ও বন্যার কারণে গো-খাদ্যের সংকটের কারণে গবাদিপশুর খাওয়ার জন্য ১বস্তা করে ফিড বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে হাইজিন কিট, মাস্ক, সাবান ও হাত ধোয়ার জন্য ট্যাবযুক্ত বালতি দেওয়া হচ্ছে। নগদ অর্থ সহায়তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাবদ প্রতিটি পরিবারকে ৬হাজার টাকার মানবিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। আগামীতেও এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। আমি আশাবাদি এই সহযোগিতাগুলো এই অঞ্চলের খেটে-খাওয়া অসহায়-দু:স্থদের অনেক উপকারে আসবে।