নিঃসঙ্গ গাংচিল
নূর এ সিকতা :
নিঃসঙ্গ গাংচিল-
সীমাহীন আকাশের নীলাভ পথ বেয়ে বাতাসে পাখা মেলে,
দূরান্তের পথে ছুটে চলে
ঐ চেনা সীমানাকে ছাড়িয়ে;
বাতাসের সাথে তার আলাপন,
কই যাও
যাও কই?
আনমনে পড়ন্ত বিকালে
একটু বসে যাও
দানা-পানি খেয়ে নাও
কই যাও
যাও কই?
নিঃসঙ্গে অভিমানে।
বাতাসে পাখা মেলে
গাংচিল চলছে ওড়ে
নিজ দেশ ছেড়ে
বিদেশে পরবাসে;
সাদা মেঘ অবাক চোখে
গাংচিল কে ছুটতে দেখে;
কে তুমি?
পরবাসী
ছুটছো কেন বিদেশ পানে
তড়িঘড়ি দিক না চিনে;
এসো ভাই!
বসে যাও
জিরিয়ে যাও মেঘের কোলে
নীল -নীলান্তে নিজকে রাঙ্গিয়ে।
কেন ভাই?
ডাকছ পিছু
দেখছ আমি
ছুটছি কত
দূরান্তর আকাশ পানে
নিঃসঙ্গ এক গাংচিলের জন্যে
পথ চেয়ে সে আছে বসে
যুগ -যুগান্তরে।
যাচ্ছি তার খোঁজে
কোন জলে সে কাঁদছে বসে।
পথ ছাড়ো
যেতে দাও!
ঐ বিদেশে
যেখানে নীল জলে
শালুক ফোটে
সেখানে গাংচিল আছে বসে।
আমি আর সে
নিঃসঙ্গ দুই গাংচিল মিলে
নীড় গড়ব আপন মনে—