মেধা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পাবলিক সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে

অসিত চাকী : মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক। পরাধীনতার গ্লানি থেকে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করেছেন তিনি এনে দিয়েছেন বিশ্বমানচিত্রে একটি বাংলাদেশ। শোষন ও নির্যাতন থেকে মানুষ মুক্ত হয়েছে।বঙ্গবন্ধু পেয়েছেন জুলিও কুড়ি শান্তি পুরষ্কার । যাহা বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বশান্তি পুরষ্কারে ভূষিত করেছে।তাই বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে দাবি রেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু পাবলিক সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য। প্রশ্ন উঠতে পারে পাবলিক সার্ভিস কমিশন থাকতে আবার কেন বিশ্ববিদ্যালয়। পাবলিক সার্ভিস কমিশন (p s c) কে আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত করবার জন্য এবং ঘরে ঘরে বি,সি,এস ধারী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে উন্মক্ত করে মেধা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বি,সি,এস ধারী কর্মকর্তার তালিকা করা হোক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় হইতে গ্রাজুয়েট ও মাষ্টার্স ডিগ্রী ধারীরা এই বিদ্যালয়ে শুধু চাকুরীর পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করিবে।চাকুরীর জন্য আবেদনের ৩০ বৎসর বয়স কোন ভাবেই গ্রহন যোগ্য নয়। চাকুরী প্রবেশের (বয়স হবে উন্মক্ত করন) এবং চাকুরী হইতে অবসরে যাওয়ার সময় ১০ থেকে ১৫ বৎসর করা হোক (অর্থ্যাৎ চাকুরীর বয়স থাকবে ১০-১৫ বৎসর)।এতে করে শিক্ষিত বেকার চাকুরী প্রবেশে সুযোগ পাবে। চাকুরী হয়তো স্বল্প সময় করবে তাতে বেকার সমস্যা অনেক কমে আসবে। তৃণমূল পর্যায় থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষিতদের তালিকা প্রণয়ন এবং বি,সি,এস পরিক্ষার অংগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা। এর পাশাপাশি ৪০ বৎসর বয়সের মাষ্টার্স ধারীদের সম্মানী ভাতা চালু সময়ের দাবি। সরকারী চাকুরী যারা করছেন ওনারা কেন ৩০ বৎসর ৪০ বৎসর চাকুরী করবেন? যেখানে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার হয়ে আছে।(এখানেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য) ।সরকার গণতন্ত্র সার্ভিস হয়েছে রাজতন্ত্র সরকার যেমন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে সার্ভিস ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলবে ।তাতে সবাই স্বাধীনতার সুফল পাবে এবং অর্থনৈতিক কষ্ট দূর হবে। তবে চাকুরীর অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ বলবৎ থাকবে।
এই জন্যই প্রয়োজন নিপীড়িত মানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাবলিক সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় । সংসদ সদস্য, মন্ত্রীমহোদয়ের বয়স রাষ্টীয় কার্যে উল্লেখ করা হয় না। শুধু চাকুরীর বেলায় এ নিয়ম গণতন্ত্রকে বিপদ গামী করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাবলিক সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দ্ধে ও মর্যাদা সম্পূর্ণ। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলার হবেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস চ্যান্সেলার হবেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাবলিক সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হবে বাংলাদেশের বিশিষ্ঠ্য রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কৃষিবিদ, বিশিষ্ট্য মনোবিজ্ঞানী , বিশিষ্ট্য আইনজীবি, বিশিষ্ট্য সাংবাদিক, প্রকৌশলী, চলচিত্র ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট খেলোয়াড়, সকল মন্ত্রনালয়ের সচিব বৃন্দ, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, ও বিমান বাহিনীর প্রধান, পুলিশ প্রধান, সিনিয়র বিচারপতিগণ নিয়ে গঠিত হবে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (আর ও জনবল কাঠামো থাকবে)। লোক প্রশাসন প্রশিক্ষন কেন্দ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতা ভুক্ত থাকবে। সরকারের নিবার্হী বিভাগ ও বিচার বিভাগের সকল কর্মকর্তার নিয়োগ দিবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাবলিক সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয়টি মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্পীকার, সকল সংসদ সদস্য বৃন্দ, মাননীয় মন্ত্রীমহোদয়গণ এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলারের নিকট সবিনয় ভাবে সুপারিশ জানাচ্ছি।
নিবেদক
অসিত চাকী এম,এ,(ইতিহাস)
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
মোকামতলা, শিবগঞ্জ,বগুড়া।

Next Post Previous Post