মুজিব শতবর্ষে কৃষি উৎসব উপলক্ষ্যে চিরিরবন্দরে জনপ্রিয় হচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান
মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মুজিব শতবর্ষে কৃষি উৎসব উপলক্ষ্যে স্থাপিত পারিবারিক পুষ্টি বাগান দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। করোনা মহামারি,বন্যাসহ নানা আপদকালীন সময়ে যেন সবজি উৎপাদনে কোন প্রভাব না পড়ে সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক দূর্যোগ মোকাবেলায় দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্নতা ধরে রাখতে প্রতি ইঞ্চি কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চিরিরবন্দর উপজেলায় স্থাপন করা হচ্ছে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পুরো দেশ যখন লকডাউনে ছিলো তখন সবজি সরবরাহ ও উৎপাদনসহ নানা বিষয়ে চরম সংকটের সৃষ্টি হয়েছিলো।
উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৩৮৪ জন কৃষকের বাড়িতে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বাড়িতে তৈরি করা হচ্ছে এই বাগান। প্রতিটি পারিবারিক পুষ্টি বাগানে উৎপাদিত নানা রকমের বিষমুক্ত সবজি দিয়ে কৃষকরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজিগুলো বাজারজাত করে বাড়তি অর্থও আয় করতে পারবেন।
যার কারণে আপদকালীন সময়ে উপজেলায় কোন প্রকারের সবজির সংকটের সৃষ্টি হবে না। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে চিরিরবন্দর উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরিতে কাজ করে আসছে। এতে করে কৃষকরা সবজি উৎপাদনে স্বংয়সম্পন্নতা অর্জনের পাশাপাশি আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
নশরতপুর ইউপির বালাপাড়া গ্রামের কৃষক মানিক হোসেন বলেন কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় আমার বাড়ির পাশে পড়ে থাকা পতিত জায়গায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করেছি। এই বাগান তৈরির খরচ হিসেবে সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতাও পেয়েছি। আমি অনেক উপকৃত হয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বিভিন্ন আপদকালীন সময়ে কৃষকরা যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে তাই বিকল্প পথ হিসেবে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করা হচ্ছে। আমরা প্রথমে কৃষকদের উব্ধুদ্ধ করেছি।
কৃষকদের বাগানের উপকারিতা সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করছি। তবে বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের মাঝে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আমরা প্রতিটি বাগানে ১৬ প্রকারের সবজির বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করেছি। আশা রাখি আগামীতে উপজেলার প্রতিটি বাড়িতেই তৈরি হবে একটি করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান। এতে করে উপজেলায় কোন আপদকালীন সময়ে কোন সবজির সংকট সৃষ্টি হবে না বলে আমরা শতভাগ আশাবাদি।