তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে ৫ মাস পর পুনরায় আমদানি রফতানি শুরু
রফিক সরকার গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : বিশ্ব জোড়ে মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে র্দীঘ প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্য বিধি মেনে আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) থেকে পুনরায় তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় লকডাউনের কারণে দেশের অন্যান্য স্থল বন্দরের মতো গত ১৯ মার্চের পর থেকে সিলেটের তামাবিল স্থল বন্দরের আমাদানি ও রফতানি বন্ধ ছিল। বিগত কয়েক দিন ধরে স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন এবং প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কয়েকটি বিধি নিষেধ মেনে এই স্থল বন্দরটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন। চালু হওয়ার পর আজ দুপুর ১২টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভারতীয় পাথরবাহী ৩টি এবং ফলবাহী ১টিসহ মোট ৪টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আগামাীকাল (মঙ্গলবার) সকাল থেকে পুরোদমে আমদানি রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে তামাবিল কাস্টমস সূত্রে জানা যায়। তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন ছেদু জানান, র্দীঘদিন ধরে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা বেশ বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন। শুধু ব্যবসায়ীই নন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তামাবিল স্থল বন্দর সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক। এই স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের পাশাপাশি বিগত পাঁচ মাসে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক মিলে এই স্থল বন্দরের উপর প্রায় ২০ হাজার মানুষ নির্ভরশীল। তাই আজ থেকে এই বন্দর দিয়ে পূণরায় আমদানি রফতানি চালু হওয়ায় এলাকার সর্বত্রই খুশির আমেজ বইছে। এ বিষয়ে তামাবিল স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সজিব মিয়া বলেন, প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে এই বন্দর দিয়ে ফের আমদানি রফতানি চালু হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসেবে স্থল বন্দর প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের সহযোগিতায় পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় প্রতিটি ট্রাককে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বাধ্যতামূলক ভাবে স্যানিটাইজ করা হবে। এছাড়াও তামাবিল ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত মেডিকেল টিম ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।