নেইমারের সুযোগ নিজেকে প্রমাণের
অনলাইন ডেস্ক : বার্সেলোনায় সুখের সংসার পেতেছিলেন নেইমার। মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে জুটি বেঁধে চ্যাম্পিয়নস লিগও জেতা হয়েছিল তার। তবে দারুণ খেলেও বারবার ছায়ায় পড়ে যাচ্ছিলেন বিশ্বসেরা লিওনেল মেসির। যে কারণে ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে প্যারিসে আগমন তার। রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পিএসজিতে যোগ দিয়ে অবশ্য প্রত্যাশা পূরণে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
পিএসজির লক্ষ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ- তিনি কিছুতেই জেতাতে পারছিলেন না। তবে সেই লক্ষ্য পূরণের একধাপ দূরে এখন নেইমার। ফাইনালে আজ বায়ার্নকে হারাতে পারলেই ঘুচবে পিএসজির ইউরোপ সেরার মুকুট মাথায় তোলার প্রতীক্ষা। সেই সঙ্গে নেইমার নিজেও প্রমাণ করতে পারবেন, তিনিও বিশ্বসেরাদের একজন।
এবার যে শিরোপা জিততেই লড়ছেন তিনি, আসর জুড়েই তার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন নেইমার। শেষ ষোলোয় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই লেগেই গোল করেন নেইমার। কোয়ার্টার-ফাইনালে আটালান্টার বিপক্ষে অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট করার পরও তার পারফরম্যান্স দারুণ প্রশংসিত হয়, হন ম্যাচ সেরা। লাইপজিগের বিপক্ষেও বল পায়ে তার নৈপুণ্য ছিল নজরকাড়া। যদিও এই ম্যাচেও গোল পাননি তিনি। পিএসজির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে এখন পর্যন্ত ৮৪ ম্যাচে ৭০ গোল করেছেন নেইমার।
এদিকে অভিযোগ ছিল মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে নেইমারের যে মেলবন্ধন, পিএসজিতে আসার পর তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। তবে সেটিকেও এই মৌসুমে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন নেইমার। এমবাপ্পে-ডি মারিয়াদের সঙ্গে গড়া তার ত্রিফলা আক্রমণ ভোগাচ্ছে প্রতিপক্ষ সব দলকেই।
নেইমার ফাইনালের আগে নিজেও বললেন দলের ভেতর সবার সম্পর্ক এখন খুব মধুর, ‘আমরা কাছাকাছি বয়সের। মাঠের বাইরে আমরা একসঙ্গে আনন্দ করি। আমরা খুব দ্রুত বন্ধু হয়ে উঠেছি। আমরা একে অপরকে সম্মান করি, আমরা অনেক আনন্দ করি। আগের থেকে এখন আমরা নিজেদের নিয়ে কম ভাবি, বরং সতীর্থদের নিয়ে বেশি ভাবি। কারণ, আমরা বুঝতে পেরেছি যে ম্যাচ জিততে সবাইকে প্রয়োজন। আমরা দুজন মিলে তা করতে পারব না।’