কালকিনিতে ইউপি চেয়ারম্যানের কারামুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
নাবিলা ওয়ালিজা মাদারীপুর : মাদারীপুরের কালকিনিতে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে দুইটি মামলা দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে ও তার কারামুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। আজ সোমবার দুপুরে আউলিয়ারচর গ্রামের প্রধান সড়কে তিনঘন্টা ব্যাপী প্রায় ১ হাজার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের অংশ গ্রহনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউপি পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য খবির মৃধা প্রায় ১বছর আগে খুন হন। পরে নিহতের বাবা নুরুল মৃধা বাদী হয়ে মাদারীপুর কোর্টে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া ৮নং ওয়ার্ডের আরেক ইউপি সদস্য আকতার শিকদারকে গত ৩১/০৭/২০ ইং তারিখ রাতে তার বাড়িতে বসে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহতের বাবা মতিন শিকদার বাদী হয়ে ষড়যন্ত্রের আশ্রায় নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এ দুটি মামলায় বাঁশগাড়ি ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে কালকিনি থানা পুলিশ গ্রেফতার করে মাদারীপুর জেল হাজতে প্রেরন করেন। এ দুটি মামলা দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে বিনাকারনে ফাঁসানো প্রতিবাদে ও তার দ্রুত করামুক্তির দাবিতে বাশগাড়ী ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করা হয়। এদিকে কর্মসুচি চলাকালীন সময় ওইএলাকায় কয়েকটি ফাঁকা বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটনায় দুর্বৃত্তরা। এতে করে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে খবর পেয়ে খাশেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আজাদ আবুল কালাম, শিকিম আলী, ব্যাংক কর্মকর্তা শহিদ শিপাহী ও মজিবর রহমান মাল বক্তব্যকালে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে বিনাকারনে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাদের চেয়ারম্যানকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। কারন দুটি ঘটনার সময় সে দেশের বাহিরে ছিল। তাকে মুক্তি দেয়া না হলে আমরা আগামীতে কঠোর কর্মসুচি পালন করবো।
এ বিষয় জানতে চাইলে দুটি মামলার বাদী নুরুল মৃধা ও মতিন শিকদার এড়িয়ে যান।
খাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি আলআমিন বলেন, এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত আছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা শুনেছি। তবে কারা ঘটিয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে। আর শুনেছি মানববন্ধন উভয় পক্ষই করেছে।