রফিক সরকার গোয়াইনঘাট (সিলেট) সংবাদদাতা : সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৪র্থ বারেরমতো বন্যা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চতুর্থবারের মতো উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিপদ সীমার উপর দিয়ে বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছ । তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার হাওরঞ্চলের সিংহভাগ এলাকার রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আমন, রোপা আউশ ও আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া অবিরাম বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের মানুষের স্বভাবিক জীবন যাত্রার মান বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গত কয়দিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটের পুর্ব জাফলং, রুস্তমপুর, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং, ও ডৌবাড়ী ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল এলাকা উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে । ঘনঘন বন্যা ও বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এসব ইউনিয়নে বোনা আমন, রোপা আউশ ও আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে । এছাড়া এসব ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের প্রায় শতাংশ ৯০% রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যার পরিস্থিতি দেখতে গোয়াইনঘাট কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী উপজেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মুহিবুর রহমান সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী জানান, আমাদের এই উপজেলায় গত কয়েক দিনের মধ্যে ৪র্থ দফা বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ২০/২০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা, ৩৫ হেক্টর বোনা আউশ ও ৫-৬ হেক্টর সবজিতলা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ঘনঘন বন্যার কারণে পানিতে নিমজ্জিত ওই সব বীজতলা ও সবজিতলা ২/৩ দিনের মধ্যে শুকিয়ে গেলেও সে গুলো আর টিকবে বলে মনে হচ্ছেনা। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিব বলেন, ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এবং আমরা সার্বক্ষণিক বন্যাকবলিত এলাকার খোঁজখবর নিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। এবং বন্যার পানি যদি আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বন্যায় জনগণের দুর্ভোগ লাগবে জন্য কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিলেট বিভাগ
