লিবিয়ায় বাংলাদেশী হত্যায় মাদারীপুরে নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে আরও একটি মামলা : মোট মামলা ৪ টি
নাবিলা ওয়ালিজা,মাদারীপুর : লিবিয়ায় বাংলাদেশীদের মানব পাচারের এবং হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নিহত মানিক হাওলাদারের বাবা শাহা আলম হাওরাদার দালাল জুলহাস সরদারকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নামে মানব পাচার আইনে রাজৈর থানায় মামলা করেছে। এ নিয়ে রাজৈর থানায় ৩টি ও সদর থানায় ১ টি মামলা দায়ের হলো। চার পরিবারের দায়ের করা চার মামলায় মোট আসামি ১৮ জন। রাজৈর থানায় দায়ের করা তিনটি মামলাতেই দালাল জুলহাস সরদারের নাম রয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় দালাল নজরুল মোল্লার স্ত্রী দিনা বেগম পুলিশের হাতে আটক হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন এবং রাজৈরের তিন মামলার আসামি জুলহাস সরদারের করোনা পজেটিভ হওয়ায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশি হত্যা করে মানব পাচারকারীরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই মাদারীপুরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় লিবিয়ায় নিহত ও মানব পাচারের শিকার মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ দুধখালি গ্রামের মো. শামীম হাওলাদারের বাবা হালিম হাওলাদার বাদী হয়ে রোববার বিকেলে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে দালাল নজরুল মোল্লার স্ত্রী দিনা বেগমকে। দালাল নজরুল মোল্লা এখন লিবিয়াতে রয়েছেন। এই ঘটনায় রোববার রাতেই মামলার প্রধান আসামী দিনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে একই ঘটনায় মাদারীপুরের রাজৈরে লিবিয়ায় নিহত জুয়েলের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে দালাল জুলহাস সরদারসহ ৪ জনের নামে মানব পাচার আইনে মামলা করেছে রাজৈর থানায়। এছাড়াও রাজৈর থানার বদরপাশা ইউনিয়নের নিহত রহিম খালাসীর ভাই আবু খায়ের খালাসী বাদী হয়ে রাজৈর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলা জুলহাস সরদারসহ ৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।
রাজৈর থানার ওসি খোন্দকার শওকত জাহান বলেন, মানব পাচারের ঘটনায় রাজৈর থানায় মঙ্গলবার আরও একটি মামলা দায়ের করেছে নিহত মানিক হাওলাদারের বাবা শাহ আলম হাওলাদার। এ মামলাও দালাল জুলহাস সরদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। রাজৈরের তিনটি মামলাতেই জুলহাস সরদার আসামি। এদের মধ্যে জুলহাস করোনা পজেটিভ হওয়ায় পুলিশি হেফাজতে মাদারীপুর সদর হসাপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে। মামলার অন্যসব আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।