সিলেটে পাহাড়ি ঢলে নিম্নঅঞ্চল বন্যায় প্লবিত

সিলেট প্রতিনিধি : টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সবকটি নদীর পানি বেড়ে চলেছে। সুরমা ও সারি নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর সবকটা পয়েন্টে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এদিকে, কানাইঘাটে সুরমা ও জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় সেসব এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে সড়ক ও গ্রামীণ রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও বাড়ি-ঘর,মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলায় অধিক বর্ষণে গোয়াইনঘাট-জাফলং সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সারি ও পিয়াইন নদী দিয়ে নেমে আসা পানিতে উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সারি-গোয়াইনঘাট সড়ক ও গোয়াইনঘাট জাফলং সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে অনেক এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এছাড়া প্লাবনে কয়েক শতাধিক ফিশারির মাছ ভেসে গেছে। সরেজমিন গিয়ে এবং বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের জাফলং চা বাগান, বাউরবাগ হাওর, আসামপাড়া হাওর, পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের নাইন্দা, তীতকুল্লি, বুধিগাঁও, খাষ, দাড়াইল, বাংলাইন ও লাতু হাওর, পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের সাতাইন, পাঁচপাড়া, পুকাশহাওসহ উপজেলার বিভিন্ন হাওর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীণ ছোট বড় ও নিচু কাঁচা এবং পাকা সকল রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। জৈন্তাপুর উপজেলার কেন্দ্রী,শেওলারটুক,বাওন হাওর,বাউরভাগ,লক্ষ্মীপুর, বিরাইমারা, লামনীগ্রাম, কাটাখাল গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। গ্রামীণ জনপদের অনেক রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা সদরের বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকেইপাড়া নয়াবাড়ি, জাঙ্গলহাটি সহ বিভিন্ন এলাকা এবং পশ্চিম গৌরিসংকর, ডিবির হাওর, কামরাঙ্গীখেল, বাইরাখেল, হর্নি, কালিঞ্জীবাড়ি, দিগারাইল, নয়াগাতি, বারগতি, হেলিরাই, গুয়াবাড়ি সহ আরো অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করে। অনেকেরই বসতঘরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, বৃষ্টি আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিভাগ সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে শঙ্কাও করছেন স্থানীয়রা। এদিকে, বন্যা মোকাবেলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এনডিসি (নেজারত ডেপুটি কালেক্টর) মো. এরশাদ মিয়া। তিনি জানান, প্রতিটি উপজেলায় ত্রাণ মজুদ আছে।

Next Post Previous Post