করোনার কারণে এবার রাজশাহীর আম রফতানি হচ্ছে না বিদেশে

নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে : রাজশাহী জেলাজুড়ে আমের রাজধানী নামে পরিচিত দেশ-বিদেশে। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের কারণে বিদেশে যাচ্ছে না মধুর মাসের আম বলে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে। এ আম গত মৌসুমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন দেশে রফতানি করা করা হয়েছিল। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এবার বিদেশে যাচ্ছে না এবছরের সেই আম। আমের মধ্যে ফজলি, খেরসাপাত (হিমসাগর), গোপালভোগ, মহনভোগ ও ল্যাংড়া বিখ্যাত। এছাড়া বৌ-ভুলানি, রানীপছন্দ, জামাই খুশি, বৃন্দাবন, তুতাপরি, লখনা, বোম্বাই, খেরসাপাত, দাউদ ভোগ, সেন্দুরি, আমরুপালি, আশ্বিনা, ব্যানানা, মল্লিকা, ক্ষুদি খেরসাপাত, কালীভোগসহ প্রায় শতাধিক জাতের আম রয়েছে। চলতি মৌসুমে ৫০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রফতানির কথা ছিল। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের কারণে বিদেশে যাচ্ছে না মধুর মাসের এ আম এলাকা সুত্রে জানাগেছে,হটেক্স ফাউন্ডেশন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের যৌথ আয়োজনে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমে এ আম রফতানির কাজ শুরু করা হয়েছিল। আম রফতানির জন্য ৫০ জন বাগান মালিককে উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করে সনদপত্র প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষিরা কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত আম উৎপাদন করেন। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ মে থেকে গুটি আম, ২০ মে থেকে গোপালভোগ ও লক্ষণভোগ, ২৫ মে থেকে লখনা, ২৮ মে থেকে হিমসাগর, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৩ জুন থেকে আম্রপালি, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, ১০ জুলাই থেকে বারি-৪ আম নামোনো যাবে। এদিকে,রাচশাহীর বিভিন্ন হাট-বাজাওে গুটি আম পাইকারি হিসেবে প্রতিমণ ৮০০-১০০০ টাকা, খেরসাপাত (হিমসাগর) ও গোপালভোগ ১৫০০-১৬০০ টাকা, লখনা ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Next Post Previous Post