বগুড়ার নন্দীগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর চলছে জন্ডিসের চিকিৎসা
জিল্লুর রয়েল, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগী তথ্য গোপন করে জন্ডিসের চিকিৎসা নেওয়াকালে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রাম থেকে ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, বগুড়ার সারিয়াকান্দির লিটন মিঞার ছেলে আল-আমিন (২৫) ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করে। করোনা উপসর্গ নিয়ে ঈদের আগের দিন তিনি বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে আসেন। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার (২৭ মে) তিনি বগুড়া নমুনা পরীক্ষা করতে দিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যান। রাতে মোবাইল ফোনে জানতে পারে নমুনা পরিক্ষার ফলাফল পজিটিভ। এরপর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে বের করে দেয়া হলে সে ওই রাতেই চলে আসেন নন্দীগ্রাম উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে চাচার বাড়িতে। সেখানে গিয়ে জানায় তিনি জন্ডিসে আক্রান্ত। চাচার পরিবার তার কথা বিশ্বাস করে পরদিন জন্ডিসের চিকিৎসা শুরু করে দেয়। শুক্রবার দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রশাসন পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাজির হয় ওই বাড়িতে। তখন হৈ চৈ পড়ে যায় গ্রামে। সবাই জানতে পারে করোনা পজিটিভ রোগী জন্ডিসে আক্রান্ত বলে চিকিৎসা করাচ্ছেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানকার ৪ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন প্রশাসন। ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ফোন পেয়ে জানতে পারি আমার ইউনিয়নে করোনা পজিটিভ রোগী আছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের পরামর্শে গ্রাম পুলিশদের ওই বাড়ি দেখাশোনার দায়িত্ব দেই। সে যেন কোথাও পালাতে না পারে। নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, ওই রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হওয়ায় তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।