মাদারীপুর করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে থাকা রোগীর মৃত্যু নতুন করে ১১ জন করোনা শনাক্ত

নাবিলা ওয়ালিজা মাদারীপুর : মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসলোশনে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া ঢাকা ফেরত এক ব্যক্তি শুক্রবার দুপুরে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের আর.এমও ডা. অখিল সরকার। হাসপাতালের মারা যাওয়া রোগীর নাম তাজিমুল হোসেন (৩৫)। তিনি সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের হাসউদী গ্রামের হাবিবুর রহমান চোকিদারের ছেলে। এ নিয়ে জেলায় মোট তিনজন রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় মাদারীপুর জেলায় নতুন করে আরো ১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর হাসপাতালের একজন সিনিয়র নার্স রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়াল ১০০ জনে।

সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. অখিল সরকার আরো জানিয়েছেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে ঈদের আগে তাজিমুল ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে জ্বর কাশি নিয়ে মাদারীপুরের নিজ গ্রামের বাড়ি আসেন। বাড়ি আসার পর বুধবার করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ¦র, গলাব্যথা ও শ^াসকষ্টজনিত সমস্যা আরো বাড়লে তিনি সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তার নমুনা বৃহস্পতিবার সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। মধ্যরাত থেকে তার শ^াসকষ্ট বাড়তে থাকলে শুক্রবার দুপুরে তিনি মারা যান।

মাদারীপুর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকরাম হোসেন বলেন, ‘মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি র্দীঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তার শ^াসকষ্টের সমস্যাও ছিল। ঢাকা থেকে দেশে আসার পরে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। যেহেতু তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন তাই স্বাস্থ্য বিধি মেনেই তার দাফন কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মারা যাওয়া রোগীর নমুন সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখনো করোনায় সে পজেটিভ নাকি নেগেটিভ সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জেলায় বর্তমানে ১০০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৩৫ জন শনাক্ত রাজৈরে। সদরে ২৫ জন। কালকিনিতে ১৩ ও শিবচর উপজেলায় ২৭ জন। সদর ও রাজৈর উপজেলায় হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা ওই দুই উপজেলা বিশেষ নজরদারিতে রেখেছি।

Next Post Previous Post