৯ ঘণ্টার ব্যবধানে বিএনপির সাবেক দুই এমপির মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক : মাত্র ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে বিএনপির সাবেক দুই এমপি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাদের একজন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মনজুর। অন্যজন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের চারবারের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ মতিন।
সোমবার দিবাগত রাত ১১টা ৫০মিনিটে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে (সাবেক এপোলো) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান মঞ্জুর। আর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উত্তরার রেডিক্যাল হাসপাতালে মারা যান এম এ মতিন।
নুরুল ইসলাম মনজুর ছেলে আহমেদ সোহেল মনজুর সুমন জানান, তার বাবা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। ১৪ দিন আগে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (২৫ মে) রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, মরহুমের মরদেহ গুলশানের ৮৮ নম্বর সড়কে তার নিজ বাড়িতে নেয়া হয়েছে। বাদ আছর গুলশান সোসাইটি মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
নুরুল ইসলাম মনজুর ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে পিরোজপুর-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি এমএনএ ছিলেন।
১৯৯৯ সালে বিএনপি নেতা কে এম ওবায়দুর রহমান ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ মনজুরকে জেলহত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ১০৯ জন সংসদ সদস্য। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতায় থাকাকালীন আদালত এ অভিযোগ থেকে তাদের খালাস দেন।
তিনি ২০০১ সালে অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে পিরোজপুর-২ আসনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। তার তৃতীয় ছেলে আহমেদ সোহেল মনজুর সুমন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। নুরুল ইসলাম মনজুর স্ত্রী ডা. সুফিয়া বেগম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে অবসর নেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চারবারের এম এ মতিন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে তিনি উত্তরার নিজ বাসায় ব্রেন স্ট্রোক করলে তাকে উত্তরা রেডিক্যাল হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সকালে তিনি সেখানেই মারা যান। তার স্ত্রী গত চার বছর আগে মারা গেছেন। তিনি এক ছেলে চার মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় নেয়া হবে। স্থানীয়ভাবে জানাজা শেষে টোরাগড় মুন্সিবাড়ী পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সাবেক সাংসদ এম এ মতিন বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।