‘আম্ফান’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি আছে, বাকিটা আল্লাহ ভরসা : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’ এর সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রস্তুতি আমাদের আছে, বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
বুধবার (২০ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ত্রাণ দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যরা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবিলায় দিক নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাসের দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা যখন ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তখন এই দুর্যোগ। এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে কারো হাত নেই। এটা আমরা ঠেকাতে পারবো না। কিন্তু মানুষের জানমাল রক্ষা করার ব্যবস্থাটা আমরা নিতে পারি। এবং সেটা আমরা নিয়ে যাচ্ছি।’
দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নেওয়া ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পর্যন্ত যে ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে, যেটুকু প্রস্তুতি, তাতে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এখন পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। প্রস্তুতি আমাদের আছে, বাকিটা আল্লাহ ভরসা। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যাতে এতে আমাদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। বাংলাদেশে আসতে আসতে ঝড়ের শক্তিটা যাতে একটু কমে যায়।
এসময় সরকার প্রধান বলেন, আবহাওয়া দপ্তর আধুনিক করা হয়েছে, প্রতিবেশীদেশগুলো থেকে পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ে আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় বেশ কিছু কাজ করা হচ্ছে, যাতে করে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য আমরা পেতে পারি।
ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, তিন বাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এদিকে ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূণিঝড় আম্ফানের প্রভাব শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, বরিশালসহ বেশকিছু জায়গায় সৃষ্ট ঘূণিঝড়ের কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসময় দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

Next Post Previous Post