লিটনের সেঞ্চুরিতে উড়ন্ত সূচনা টাইগারদের

সিলেট প্রতিনিধি : টাইগারদের সামনে পাত্তাই পেলো না ‘খর্ব শক্তি’র জিম্বাবুয়ে। ৩২২ রানের টার্গেট তারা গুঁড়িয়ে দেয় ১৫২ রানে। সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে টাইগাররা জিতে নেয় ১৬৯ রানে। লিটনের রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের দিনে তার ব্যাট থেকে আসে ১২৬ রান। এ ম্যাচে প্রত্যাবর্তন ঘটে আরো ২ জনের। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনও দলে ফিরেছেন দীর্ঘ সাত মাস পর।
ইনজুরিতে দীর্ঘ বিরতিতে থাকা সাইফুদ্দিন দলে ফিরেই বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট, ব্যাট হাতে ইনিংসের শেষ দিকে তুলেছেন ঝড়। ১৫ বলে করেছেন ২৮ রান। অধিনায়ক মাশরাফিও বল হাতে দিয়েছেন বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব। নিয়েছেন ২ উইকেট।
গতকাল বেলা ১ টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ৩২২ রানের টার্গেট পায় জিম্বাবুয়ে। ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই হোঁচট খায় সফরকারীরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তিনাশে কামুনুকামেকে প্রথম শিকারে পরিণত করেন সাইফুদ্দিন। দ্রুত উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ৮ম ওভারে আবারো আঘাত হানেন সাইফুদ্দিন। ১ রান করা রেজিস চাকাভাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাইফ।
পরের ওভারেই ২২ বলে ১০ রান করা চিভাভাকে ফেরান অধিনায়ক মাশরাফি। দ্রুত উইকেট পতনে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দায়িত্ব নেন অভিজ্ঞ টেইলর ও মাধেভেরে। কিন্তু, ১৪তম ওভারে ৪৪ রানেই পতন ঘটে চতুর্থ উইকেটের। ১৫ বলে মাত্র ৮ রান করা টেইলরকে বোল্ড আউট করেন তাইজুল। এরপর একে একে সিকান্দার রাজা, মুতুমবামি, মুতুমবদজি, তিরিপানো, মুম্বা শুধু আসা-যাওয়ার মাঝেই ছিলেন। শেষমেষ ১৫২ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে মাধেভেরের ব্যাট থেকে। টাইগারদের পক্ষে সাইফুদ্দিন ৩টি, মাশরাফি ও মেহেদী মিরাজ ২টি এবং মোস্তাফিজ ও তাইজুল নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের সেঞ্চুরী আর মো. মিঠুনের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরেিত ভর করে ৩২১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন-দীর্ঘ ৭ মাস পর মাঠে নামা মাশরাফি। তামিম আর লিটনের ব্যাটে শুরুটা বেশ ভালোই করে টাইগাররা। লিটন আক্রমণাত্মক থাকলেও দেশসেরা ওপেনার তামিম ছিলেন কিছুটা ধীর। ১১তম ওভারে এ দুজনের ব্যাটে ভর করে ৫০ রান পায় দল। ১৩তম ওভারে ঘটে ছন্দপতন। অভিষিক্ত তরুণ অলরাউন্ডার ওয়েসলি মাধেভেরে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন তামিমকে। তার ৪৩ বলে ২৪ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চারের মার। তামিম আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন তরুণ তুর্কি নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিজে এসেই রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন তিনি। লিটন-শান্ত জুটিতে ৭৭ বলে আসে ৮০ রান। ২৯ রান করে তিনোতেন্দা মুতুমবদজির বলে আউট হন নাজমুল। এরপর মুশফিকের নিয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। তবে ২৬ বলে ১৯ রান করে তিরিপানোর বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মুশফিক। ১২৬ রানের অনবদ্য ইনিংসকে যখন রাঙ্গিয়ে নিবেন ঠিক তখনি ইঞ্জুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। শেষ দিকে রিয়াদ ৩২, মিথুন ৪১ বলে ৫০ ও সাইফ উদ্দিনের ১৫ বলে ৩২ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩২১ রান করে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের এমপোফু দুটি, মুম্বা, ওয়েসলি মাধেভেরে, তিরিপানো ও টিনোটেন্ডা মুতুমবদজি একটি করে উইকেট লাভ করেন। ম্যাচসেরা হন শতক হাঁকানো লিটন দাস।

Next Post Previous Post