প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলাম কাওছারের “ভাবনাগুলো ভাবিয়ে যায়’ এবারের বইমেলায় আসছে
আরিফুর রহমান মাদারীপুর : একুশে বই মেলা-২০২০,এ প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলাম কাওছার এর লেখা ৪২ পর্বের প্রবন্ধ ‘ ভাবনাগুলো ভাবিয়ে যায়’ প্রকাশিত হয়েছে।বই টি প্রকাশ করেছে স্বনামধন্য বই প্রকাশক লাবনী।স্টল নম্বর ৭৪০/৭৪১, পাওয়া যাবে এই বইটি। প্রচ্ছদ করেছেন বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী এলিজা সুলতানা এ্যানী। লেখক রিয়াজুল ইসলাম কাওছার বলেন- বইটি পড়ে পাঠক উপকৃত হবেন বলে আমার বিশ্বাস। ভাবনাগুলো ভাবিয়ে যায় প্রবন্ধটি ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করার একটি পরামর্শমূলক এবং মানবিক মানুষ হওয়ার জন্য সহায়ক বই।আমি মনে করি বইটি সকল পাঠকের সংগ্রহে রাখার মত প্রয়োজনীয় একটি বই।লেখক এর “দাগ”, “নীলকষ্ট” বই সহ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ বাজারে থাকলেও এবারে ভাবনাগুলো ভাবিয়ে যায় প্রথম প্রবন্ধের বই। রিয়াজুল ইসলাম কাওছার, একুশে টেলিভিশনের ইতালি প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন, এছাড়া তিনি এটিএন বাংলায়, জয়যাত্রা টিভি, ইউটিভি, শিকড় টিভি, সহ অসংখ্য চ্যানেলে উপস্থাপক হিসাবে কাজ করছেন।বইটিতে প্রবাসে থেকেও স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিব্যক্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানান লেখক। প্রবন্ধটির মর্মকথা হলো””” ‘ভাবনা গুলো ভাবিয়ে যায়’ – তথাকথিত কোন প্রবন্ধের বইয়ের মত নয়। বরং এটি একজন মানুষের দক্ষতা উন্নয়ন (Skill Development) এর জন্য সহায়ক বই,যা নিশ্চয়ই সংরক্ষণ করার যোগ্য। যার মধ্যে মানুষের নৈতিকতা (Morality),আতিথায়তা (Hospitality),সংস্কৃতি (Culture)এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে একজন মানুষ পরিপূর্ণ জীবন হিসেবে পরিচালিত করতে পারে।। ভাবনাগুলো ভাবিয়ে যায়- ৪২টি প্রবন্ধের সংকলন, যেখানে প্রত্যেকটি প্রবন্ধ আলাদা করে পর্যায়ক্রমে ৪২ টি পর্বে রূপ দেওয়া হয়েছে। যেখানে শান্তিময় সমাজের একটি চিত্রায়িত করা হয়েছে, একটু বলিদান (Sacrifice) এবং আপস ( Compromise) এর মধ্য দিয়ে যে, মানুষ হতে পারে মহিয়সী মানুষ তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেখানে মানুষের মনুষত্ববোধ থাকবে হিংসা- বিদ্বেষ ,ধনী-গরীব ভেদাভেদ মুক্ত, সন্ত্রাস, মাদক মুক্ত একটি জীবন ব্যবস্থা । আর সেটি মানুষেরই সুন্দর চরিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্ব ময় হোক শান্তি এইবারতা টুকুই ইসলাম সহ সকল ধর্মের মানুষের মনেই যে লালন করে , তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষায়ও শিক্ষিত হতে হবে, শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়। মানবিক, সৃষ্টিশীল ও আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে, দেশ প্রেম পারিবারিক বন্ধন আত্মীয়তা, পিতা-মাতার কর্তব্য, স্বামী -স্ত্রীর কর্তব্য,সামর্থের অতিরিক্ত দেনমোহর ধার্যকরণ, সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে ধর্মীয় প্রেক্ষাপটেও ধারণা দেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে আমাদের বোধের সঞ্চার হতে পারে। ধরাধামে প্রতিটি মানুষই যে সম্মানিত কেউ কারো চেয়ে কম নয় সেটি তুলে ধরা হয়েছে।মদ্যাকথা নিজ কর্মের মাধ্যমে আমাদের লাল সবুজের পতাকা এবং স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবার জন্য বইটি নিশ্চয়ই সহায়ক হবে। মানবতার জন্য কাজ করার প্রয়াসে এই বইটি লেখা হয়েছে। বইটি কেবল লেখার জন্য লেখা নয় বরং সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই লেখা , যার মাধ্যমে সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কলমের মাধ্যমে অংশ গ্রহণ মাত্র। পাঠক নিশ্চয়ই ভাবনাগুলো ভাবিয়ে যায় বইটি পড়ে উপকৃত হবে নিজের খারাপ দিক গুলো শুধরে নিতে পারবে এবং দেশ ও দশের কাজে অবদান রাখতে পারবে। বইমেলা ছাড়াও বইটি সংগ্রহ করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।