রাজশাহীর তাহেরপুরে অ্যালকোহল পানে সহদর দুই ভাইয়ের মৃত্যু

নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় বিষাক্ত মিথাইল হোমিওপ্যাথির অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় ওষুধ খেয়ে একই পরিবারের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও এক বন্ধু গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘঁটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ৩নং ওর্য়াড বাজারপাড়া সুইপার কোলনীতে। মৃত ব্যাক্তিরা হলেন,কমল কুমার (৩০) ও অমল কুমার (২৬)। তারা সহদর আপন দুইভাই। নিহত কমল তাহেরপুরের একটি প্রাইভেট ব্যাংকে ঝাড়ুদারের চাকরী করতেন। তাদের বাবার নাম শ্রী মংলা কুমার দাস। এবং অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন পৌরসভা ২নং ওর্য়াড চকিরপাড়া মহল্লার হাড়িপাড়া এলাকার মৃত মন্টু ভুমিমালীর ছেলে উজ্জল ভুমিমালী (৩৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে তাহেরপুর হাটবারে ছোট ভাই অমল বড় ভাই কমল ও উজ্জল বিষাক্ত মিথাইল হোমিওপ্যাথির অ্যালকোহল মাত্রাতিরিক্ত পান করেন। এবং অমল বাড়িতে ফিরে এসে প্রথমে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সুইপার কোলনীর লোকজন খবর পেয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে নগরীর তালাইমারি এলাকায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এবং সোমবার রাতে তাকে উড়াপিতলা মরাঘাটিতে দাহ সর্ম্পন করা হয়। এদিকে,রাতে বড় ভাই কমল ও উজ্জল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সোয়া ১টার দিকে কমল মারা যায়। তবে গুরুতর অসুস্থ উজ্জল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিহত কমল ও অমল সহদর দুই ভাইয়ের বাবা-মা মারা যাওয়ায় তারা তাহেরপুরের সুইপার কোলনীর নানি বাড়িতে বসবাস করতেন। তবে তাদের বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় তার নানি পুলিশী ঝামেলায় জড়াতে চাইছেনা বলে জানাগেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাড়াহুড়া করে তাদের লাশ দুইটি মাটিচাপা দেয়া হয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। ওই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসির অভিযোগ তাহেরপুর পৌরসভায় কয়েকটি হোমিওর দোকানে নেশা জাতীয় দ্রব্য স্পিরিট বিক্রি করা হয়। ওই সব দোকান থেকে মাদকসেবীরা স্পিরিটসহ নেশা দ্রব্য সংগ্রহ করেন এবং পান করে থাকেন। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তাহেরপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই লুৎফর রহমান বলছেন, সহদর দুইভাই কমল ও অমল বিষাক্ত অ্যালকোহল মদ খেয়ে না, তারা অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। এব্যাপারে বাগমারা থানার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন,এ ঘটনায় কেউ এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি। আমাদের তাহেরপুর ফাঁড়ির এস আই লুৎফর রহমান বলেছেন তারা দুই ভাই অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। তবে আমি নিজে খোজ খবর নিয়ে ঘঁটনাটি তদন্ত করে দেখছি।

Next Post Previous Post