জাফলং বিছনাকান্দি কোয়ারি গুলোতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারনে,দিন দিন বেকার হয়ে পড়ছে কর্মজীবি মানুষ
রফিক সরকার গোয়াইনঘাট সিলেট : সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি। এই কোয়ারি দুটিতে যুগযুগ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে এই এলাকার শ্রমিক ও ব্যবসায়ী সহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। জাফলং ও বিছনাকান্দি কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন করলেও যুগযুগ কোন বাধা না থাকলেও সম্পত্তি কয়েক বছর থেকেই কোয়ারি এলাকায় কোয়ারি বন্ধে তৎপরতায় রয়েছে বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো। গত কয়েক বছর যাবত এই জাফলং পাথর কোয়ারি বন্ধ করা লক্ষ নিয়ে পরিবেশ বাদী সংগঠন (বেলা) পক্ষথেকে উচ্চ আদালতে মামলা করে যাচ্ছেন তারা। (বেলা র”) সেই মামলা ও সরকার পর্যটক এলাকা (ইসিএ) জোন ঘোষনা করার কারনে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের কর্মজীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। উপজেলার সকল কোয়ারি গুলোতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারনে,দিন দিন বেকার হয়ে পড়ছে কর্মজীবি মানুষ । কয়েক বছর ধরে জাফলং কোয়ারির উপর মামলা ঘানি টেনেও নদীতে কাজ করছিল শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কঠোরতা কারনে এবার বুঝি সেই আশা আর করতে পারছেনা তারা। তাই এবার স্থানীয় ও জেলা বৃত্তিক কয়েকটি সংগঠন মিলে আন্দলনের ডাক দিয়েছে তারা , সংগঠন গুলো হলো, জাফলং বল্লাঘাট পাথর উত্তোলন ও সরবরাহকারী শ্রমিক বহুমুখি সমবায় সমিতি, সিলেট জেলা ট্রাক-পিকআপ, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি,বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, জাফলং ট্রাকচালক সমবায় সমিতি, মোহাম্মদপুর মিতালী যুব সংঘ,জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতি, তামাবিল কয়লা আমদানীকারক গ্রুপ, বৃহত্তর জৈন্তা বেলচা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন,মোখতলা বালু ব্যবসায়ী সংগঠন,জাফলং পর্যটন কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতি, মামার বাজার সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ,ছৈলাখেল সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এতে একাত্ততা প্রকাশ করে বলেন, কাজ চাই ভাত চাই, পাথর কোয়ারি সচল চাই। সকলের দাবি একটাই-অচল পাথর কোয়ারি সচল চাই। শ্রমিক বাঁচলে বাঁচবে দেশ-শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। লাখো মানুষের প্রাণের দাবি পাথর কোয়ারি খুলে দাও, দিতে হবে। এরূপ নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জাফলংয়ের মামার বাজার ও সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে। পর্যায় ক্রমে প্রথম দিন সিলেট ও দ্বিতৃয় দিন জাফলংয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিতে বেলা ১২টার মধ্যে মামার বাজার এলাকায় জড়ো হয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অর্ধলক্ষ্য মানুষ। গতকাল বন্ধ কোয়ারি সচলে দাবিতে শ্রমজীবি মানুষের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করেছেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লেবু। বন্ধ কোয়ারি সচল হবে কিনা এ বিষয়ে লেবু চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা ক্রাশার মেশিন গুলো অন্যত্র সরিয়ে পরিকল্পিত ভাবে জোন করে নেয়া হলে জাফলংয়ের পরিবেশটাই পালটে যাবে। এবং ইসিয়ে এলাকার বাহিরে যে জাফলং কোয়ারি রয়েছে সেই কোয়ারি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চালু রাখার জন্য শ্রমিক ব্যবসায়ীদের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করেন তিনি। জাফলং ও বিছনাকান্দি কোয়ারি সচলের দাবীতে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে মামার বাজার সমাবেশে দেখা যায় উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদকে। উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, দীর্ঘ দিন থেকেই জাফলং ও বিছনাকান্দি কোয়ারি সচলের লক্ষে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা আন্দলন করে আসছে, কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টে কোয়ারি নিয়ে মামলা থাকার কারনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করে। কিন্তু জাফলং ও বিছনাকান্দি কোয়ারি বন্ধ থাকার কারনে এলাকায় শ্রমিকরা না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দুটি পাথর কোয়ারি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চালু করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।