মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্থির চিত্রে সেজেছে নবাবগঞ্জের প্রাথমিক স্কুলগুলি

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর) : স্থির চিত্রের নাম দেয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার। শিশুরা লেখাপড়ার পাশাপাশি ছবির ভাষায় শিখছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিশুদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে কমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে সাজানো হয়েছে স্থির চিত্রে।
উপজেলার হরিল্যাখুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়টিতে যেন স্থির চিত্রের প্রদর্শনী চলছে। বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণী কক্ষে ও শ্রেণীকক্ষের বাহিরে বিভিন্ন স্থির চিত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ ভাবে স্থান পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থিরচিত্র, তথ্য ও ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর বাণী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরল সব ছবি।
এছাড়া রয়েছে জাতীয় ৪ চার নেতা, বীর শ্রেষ্ঠদের ছবি ও তাদের আত্মজীবনী, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধার স্থিরচিত্র। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ও দেওয়ালে স্থান পেয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ বিভিন্ন মনীষীদের ছবি, কবিতা, প্রবন্ধ, বাণী। এই উদ্যোগে লেখাপড়ার পাশাপাশি অনুপ্রাণিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জানতে পারছে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্যময় জীবনী, যা কিনা আগামী প্রজন্মের মাধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা জানান- মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় ৪ নেতা ও বীরশ্রেষ্ঠদের সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি ও শিখেছি।
ঐ বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আঃ মতিন বলেন- পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ছবির মাধ্যমে আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও তার জীবনী সম্পর্কে খুব সহজে কমলমতি শিক্ষার্থীদের শিখাতে পারছি। এজন্য আমি বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রেজাউল করিম বলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের নির্দেশে আমার উপজেলাতে ইতিমধ্যে প্রায় ১৫৯টি বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। অবশিষ্ট বিদ্যালয়ে স্থাপনের কাজ চলছে। আমরা বিদ্যালয় পরির্দশন করে এর কার্যক্রম বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি সরকারের এই উদ্যোগে শিশুরা খুব সহজেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে শিখতে পারছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও শিশুদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে সরকারে এই উদ্যোগ সাফরে‌্যার দোড়গোড়ায় পৌছেচে।

Next Post Previous Post