বাগমারায় চলতি মওসুমের প্রথমে মুলার চাষে ন্যায্য মূল্য পেয়ে কৃষকরা খুশি
নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় কৃষকদের মাঝে মূলা চাষের আগ্রহ বেড়েছে। কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা এবার পানি সহনীয় আগাম জাতের মূলা চাষ করে লাভবান হয়েছে। এবার ভাল ফলনের পাশাপাশি তারা মূলার দামও বেশি পায়েছেন। শুরুতে বাজার দর ভাল থাকায় কৃষকদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। এরই মাঝে উৎপাদন খরচ উঠে লাভের মুখ দেখতে পেয়েছেন চাষিরা। তবে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) তাহেরপুর পৌরসভা হাটে মূলার পাইকারি দাম ছিলো ৪শ’ থেকে ৫শত টাকা মন। তবে চলতি মওসুমের প্রথম দিকে এই হাটে মুলার মন ছিলো ১৮শ’ থেকে দুই হাজার টাকা দর। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত রবি মৌসুমে মাগমারায় ৮২০ হেক্টর জমিতে মূলা চাষ করা হয়। এ মৌসূমে বর্তমানে ১৬৫ হেক্টর জমিতে আগাম মূলা চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় মূলা চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে। বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানের মত ভবানীগঞ্জ পৌরসভার চাঁনপাড়া মহল্লা ও মাড়িয়া ইউনিয়নের দাসপাড়া ও বালিয়া গ্রামে মূলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওইসব এলাকার কৃষকরা মূলা চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। কৃষকরা জানান, বেশী লাভ পাওয়ার কারনে মূলা চাষ করছেন তারা। ওই এলাকার ভবানীগঞ্জ-আত্রাই সড়কের চাঁনপাড়া ও বলিদাপাড়া গ্রামে গড়ে উঠেছে মূলা কেনা-বেঁচার আড়ত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা ওইসব আড়ত থেকে মূলা ক্রয় করছে। বাগমারার মূলা গুনে মানে ভাল হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই মূলা এখন বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী হচ্ছে। স্থানীয় মূলা ব্যবসায়ী জানান, চাষীদের কাছ থেকে মূলা ক্রয় করে ট্রাক যোগে ঢাকার কাওরান বাজারে রপ্তানী করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস বলছেন, বাগমারায় কৃষকদের মাঝে অধিক লাভবান হওয়ার কারনে মূলা চাষ বেড়েছে। আগাম জাতের মূলার দামেও কৃষকরা খুশি। স্থানীয় চাহিদা মেটার পরও দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করা হচ্ছে এই মুলা। তবে বাগমারা উজেলায় এখনো অনেক কৃষকদের মুলা জমিতে রয়েছে।