১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ
বিশেষ প্রতিনিধি : প্রথম দফায় সারাদেশের ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের প্রস্তুত করা কোনো তালিকা নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রেকর্ড অনুসারে যাদের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে আমরা সেগুলো প্রকাশ করছি। পর্যায়ক্রমে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম, রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করব। দালিলিক প্রমাণের মাধ্যমে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যেগুলো উদ্ধার করতে পেরেছি সেই তালিকাটি আমরা প্রাথমিকভাবে প্রকাশ করতে পারছি। মহান জাতীয় সংসদে আমাদের অঙ্গীকার ছিল রাজাকারদের তালিকা করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতির আলোকে আমরা প্রথম পর্যায়ের তালিকা প্রকাশ করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালে ১৯টি জেলা ছিল। ওই জেলার রেকর্ডরুমে যে সমস্ত দালিলিল প্রমাণ আছে সেগুলো দিয়ে সহায়তা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ জানিয়েছি। দুঃখজনক হলে সত্য, আমরা আশানুরূপ সাড়া পাইনি। যেহেতু এটি ৪৮ বছরের পুরনো রেকর্ড, সেগুলো পেতে সময় লাগবে। তাই জেলা প্রশাসকদের সময় দেওয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি। আজকে সংবাদ সম্মেলনের পর আবার জেলা প্রশাসকদের কাছে অনুরোধ জানানো হবে। তাদের এক দেড় মাস সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেন, একাত্তর সালে যে সব গেজেট হয়েছিল, আমরা সেগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। ১৯৭১ সালের সমস্ত গেজেট তারা ঠিকমতো দিতে পারেনি। ১৯৭১ সালে একটি নির্বাচন হয়েছিল। ইয়াহিয়া খান সমস্ত আসন শূন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচন করেছিল। ওই সময়ে যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হয়েছিল আমরা সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনে চেয়েছি। তারা এখনও সরবরাহ করতে পারেনি। সেই নির্বাচনে যারা এমপি হয়েছিল আমরা তাদের তালিকাও প্রকাশ করব। সেগুলো আমরা পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।