আমন রোপন নিয়ে ব্যস্থতা পলাশবাড়ীতে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কৃষকের

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : বন্যার ধকল কাটেনি দুর্গত এলাকায়। চারদিকে শুধু বন্যা পরবর্তি ক্ষয়ক্ষতির দাগ। এবার বন্যার পানির পরিমান বেশি হওয়ায় মানুষের ঘরের খাবার নষ্ট হয়েছে। সম্পুর্নরুপে নষ্ট হয়েছে আমনের বীজতলা, পাটক্ষেত ও সবজি সহ ফসলী আবাদ। পানি নেমে যাওয়ার পর জেগে উঠেছে মাঠ। তাই রোপনের শেষ সময়ে আমনের চারা সংগ্রহে গাইবান্ধার সাঘাটার কৃষকদের ব্যস্থতাও বেড়ে গেছে। দূর দুরান্ত থেকে দ্বিগুন মুল্যে চারা সংগ্রহ করছেন কৃষক। বন্যার ধকল কাটিয়ে এ যেন বেচে থাকার সংগ্রামে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর নিরন্তন চেষ্টা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ৪০০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, ২৫০ হেক্টর জমির আউষ ধান, ৯৫০ হেক্টর জমির পাট, ৩০০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত ও ১০ হেক্টর জমির অন্যন্য ফসল বন্যায় নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকার উপর।

হরিনাথপুর, তালুকজামিরা ও চকদাতিয়ার এলাকার কৃষকরা জানান, বোরোর দাম কম পাওয়ায় এবার আমন ধান রোপনে অধিক মনযোগী হন তারা। কিন্তু বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আমন রোপন নিয়ে এখন দু:চিন্তায় কৃষক।

উপজেলার ৯ ইউনিয়নের অন্তত ৯শ’ কৃষকের ফসল তলিয়ে নষ্ট হওয়ায় জেগে ওঠা জমিতে আমন রোপন করে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের কৃষক মধুু মিয়ার আড়াই বিঘা জমিতে আমন রোপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ওই কৃষক জানান, গত তিন দিন খুঁজে ১৫০০ টাকায় যে চারা সংগ্রহ হয়েছে তা দিয়ে মাত্র ২০ শতাংশ জমি রোপন সম্ভব হয়েছে। তবে যেকোন মুল্যেই চারা সংগ্রহ করে সব জমিতেই আমন রোপন করবেন কৃষক মধুু। জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর নওগাঁ থেকে আমন চারা সংগ্রহ করে ২৫ শতাংশ জমি রোপন করেছেন, উপজেলার কাজী পাড়ার গ্রামের কৃষক শচিন চন্দ্র।

মরাদাতিয়ার গ্রামের কৃষক সবুজ জানান, বন্যার পানিতে চারা নষ্ট হওয়ায় দুই বিঘা জমির আমন রোপন নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি। নতুন করে বীজ বপন করেছেন এই কৃষক। চারা পাওয়া গেলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন, একই গ্রামে কৃষক মকবুল হোসেন।

২০ আগষ্ট উপজেলার বন্যায় ক্ষতি গ্রস্ত ৯ নং হরিনাথপুর ও ৮ নং মনোহরপুর ইউনিয়ানে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা এখন শুধু আমনের জমি তৈরি নিয়ে ব্যস্থ হয়ে পড়েছেন। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় মরিয়া কৃষক।

উপজেলা কৃষি আফিসার আজিজুল ইসলাম জানান, নতুন পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন সহ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের এ সময়ে আমন রোপনে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করেন তিনি।



from BDJAHAN https://ift.tt/2Nen2Ua
via IFTTT
Next Post Previous Post